1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হেফাজতে ইসলামকে সরকার আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়'

২৭ জুন ২০১৬

বাংলাদেশের উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলামকে সরকার আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা৷ সম্প্রতি জার্মানি সফরকালে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1JEHi
Dhaka Protest gegen Blogger
ছবি: picture-alliance/AP Photo

‘ইসলামিক দলগুলোর বড় অবস্থান নেই'

জার্মানির বন শহরে ডয়চে ভেলের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন৷ বাংলাদেশ থেকে সম্মেলনে হাজির ছিলেন বেশি কয়েকজন সাংবাদিক৷

জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং ‘সাপ্তাহিক’ পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার রেলের জমি দিয়ে, নানারকম সুযোগ, সুবিধা দিয়ে হেফাজতে ইসলামকে হাতে রাখছে যাতে তারা আন্দোলনে না নামে, সরকারবিরোধী অবস্থানে না যায়৷

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার, সংখ্যালঘু এবং সমকামী অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যার বিষয়ে কথা বলেছেন মোর্তোজা৷ তিনি মনে করেন, অনলাইনে লেখালেখি করা লেখক, ব্লগারদের একটা ছোট অংশ ধর্মের সমালোচনামূলক লেখালেখি করলেও বাংলাদেশে ব্লগার বলতেই নাস্তিক, ধর্মবিরোধী – এমন একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ আর তাদের উপর হামলা রোধে সরকারে একটি দুর্বলতা বা ব্যর্থতা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি৷

মোর্তোজা বলেন, ‘‘যখন ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হলো, তখন সরকার প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে সরকার, হেফাজতে ইসলাম, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ আরো কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতি দল মিলে অনলাইন লেখকদের বা ব্লগারদের একটি তালিকা করে৷''

আলোচিত সেই তালিকার কয়েকজনকে পরবর্তীতে হত্যা করে উগ্রপন্থিরা৷ মোর্তোজা সেদিকে ইঙ্গিত কর বলেন, ‘‘সেই তালিকা যারা করেছিল, স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয় হত্যাকাণ্ডগুলোর পেছনে সেই মানুষগুলোর বা দলগুলোর ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে৷''

লেখক, ব্লগার, প্রকাশকদের উপর হামলা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করেন গোলাম মোর্তোজা৷ জার্মানির বন শহরে অবস্থানকালে দেখা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজনৈতিকভাবে বিরোধী পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করার ক্ষেত্রে ঠিক যতটা দক্ষ, যতটা সফল, সন্ত্রাসীদের বা যারা এই ধরনের অপকর্ম করে তাদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ততটা সফল নয়, ততটা আন্তরিক কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে৷''

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য