১৫ লক্ষ শরণার্থীর পুনর্বাসনের আহ্বান
২ জুলাই ২০১৯জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সোমবার জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে ৬০টি দেশে বসবাসরত প্রায় ১৫ লক্ষ শরণার্থীদের পুনর্বাসনের প্রয়োজন পড়বে৷
বর্তমান অবস্থায় এই শরণার্থীদের বেশির ভাগ বাস করছেন হাতে গোনা কিছু দেশেই৷ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপো গ্রান্দি বলেছেন, আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে এই দায়ভার এই দেশগুলি থেকে কমাতে অন্যান্য দেশের উচিত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা৷
জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য প্রয়োজন আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর, কারণ সেখানে বাস করেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষের কাছাকাছি শরণার্থী, যা তাদের সামর্থ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি৷ তুরস্কে বাস করছেন প্রায় ৪২০,০০০ শরণার্থী এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ২৫০,০০০জন৷ আগামী বছরের মধ্যে এই অঞ্চলগুলির চাপ কমাতে অন্যান্য দেশের উচিত এগিয়ে আসা, জানালেন ফিলিপো৷
অসম শরণার্থী বন্টনের যে সমস্যা
‘‘আমরা ইতিহাসে দেখেছি কীভাবে শরণার্থী ও অভিবাসনজনিত সমস্যাকে মোকাবিলা করতে সব দেশের মিলিত উদ্যোগের দরকার হয়৷ এর মাধ্যমেই যুদ্ধ বা অন্য কোনো বিপর্যয় থেকে পালানো মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া যায়'', বলেন ফিলিপো গ্রান্দি৷
শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা আফ্রিকা নয়, ২০১৫ সালে শরণার্থী সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেও৷ ডানপন্থি চিন্তার বিকাশের ফলে সেখানেও দাবি উঠেছে মোট শরণার্থী সংখ্যার আংশিক পুনর্বাসনের৷
কিন্তু গ্রান্দির মতে, বর্তমান অবস্থায় ইউরোপের চেয়ে আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বেশি প্রয়োজন পুনর্বাসন নীতি৷ এর কারণ হিসেবে তিনি দেখান এই অঞ্চলের দারিদ্র্য, খরা ও সার্বিক অনুন্নতিকে৷
গ্রান্দি আরো বলেন, ‘‘বিশ্বের যে অঞ্চলগুলি অভ্যন্তরীণ আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত, সেই অঞ্চলগুলিতেই বাস করেন বিশ্বের মোট শরণার্থীর ৮৪ শতাংশ৷ এই অসাম্যজনিত সমস্যা ঠেকাতে অবিলম্বে প্রয়োজন পুনর্বাসন নীতি, যা এই অসম শরণার্থী বন্টনের চাপ থেকে মুক্ত করবে আফ্রিকা বা তুরস্কের মতো অঞ্চলকে৷''
এসএস/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)