1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশ প্রত্যাহার, কিন্তু খালেদা স্বস্থানে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৯ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, পুলিশের গাড়ি ও জলকামান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু অবরোধ যতদিন চলবে ততদিন খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়েই থাকবেন বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/1EMbp
Unruhen in Bangladesch 05.01.2015
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাত আড়াইটার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশের দুটি ভ্যান ও জলকামান সরিয়ে নেওয়া হয়৷ সেই সঙ্গে কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদেরও প্রত্যাহার করা হয়৷ এখন সেখানে অল্প কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন৷

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে৷ তবে অন্যান্য সময়ে তার কার্যালয়ে যে ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়, এখনও তেমন নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে৷

গত ৩রা জানুয়ারি রাতে গুলশানের কার্যালয় থেকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন খালেদা জিয়া৷ এরপর থেকেই তিনি গুলশান কার্যালয়ে রয়েছেন৷ কার্যালয় ঘিরে ব়্যাব পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের প্রবেশ পথে রাখা হয়েছিল ইট ও বালুর ট্রাক৷ আর গেটে ছিল তালা৷ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, খালেদা জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷

Unruhen in Bangladesch 05.01.2015
অশান্ত বাংলাদেশছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah

গত ৫ই জানুয়ারি খালেদা জিয়া ‘অবরুদ্ধ' অবস্থায়ই গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন৷ তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের' একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে চাইছিলেন৷ কিন্তু তাঁকে বের হতে দেয়া হয়নি৷ এরপর সেদিন বিকেলে ৬ই জানুয়ারি থেকে সারাদেশে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া৷ এই অবরোধ কর্মসূচি এখনো চলছে৷ সোমবার অবরোধের ১৪তম দিন৷

এদিকে পুলিশ প্রত্যাহারের পর সোমবার দুপুরে খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শাইরুল কবির খান জানান,' পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় থেকে বের হবেন না৷'

তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশে অবরোধ চলছে৷ তাই নতুন করে দলের কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই খালেদা জিয়ার৷

আর খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সরিয়ে নেয়া সরকারের নতুন চাতুরী ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ৮০ হাজার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৮৭ টি মামলা করা হয়েছে৷ বাংলাদেশে কেন বিশ্বের ইতিহাসে মিথ্যা মামলার এই নির্লজ্জ নজির আমার জানামতে আর নাই৷''''

খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টা বলেন, ‘‘একটি কার্যকর সংলাপ আয়োজন না করা পর্যন্ত বিএনপির লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি এবং আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷ খালেদা জিয়া এখনো গুলশান কার্যালয়ে আছেন এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর কার্যালয়েই অবস্থান করবেন৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘৫ই জানুয়ারির একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন দেশের মানুষ গ্রহণ করেনি৷ গ্রহণ করেনি বিশ্ব সম্প্রদায়৷ তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আরেকটি নির্বাচন হতেই হবে৷''

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার বলেছেন, ‘‘সংলাপের দাবি করার আগে নাশকতা বন্ধ করতে হবে৷'' তিনি নাশকতা প্রতিরোধে সরকারকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন ৷

সাবেক এই রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছু বুদ্ধিজীবীসহ অনেকেই মনে করেন নাশকতা ও সন্ত্রাস করে সরকারকে সংলাপের জন্য বাধ্য করা যাবে৷ সংলাপ গণতন্ত্রের একটি অব্যাহত ধারা৷ কিন্তু কিছু পেট্রোলবোমা মেরে, সহিংসতা ও নাশকতা করে সংলাপের জন্য বাধ্য করা কোনো নৈতিকতাকেই বহন করে না৷ আমি ওই সব বুদ্ধিজীবীদের বলব, আগে এই নাশকতা বন্ধ করতে বলুন৷ যারা অবরোধ ঘোষণা করেছে অবশ্যই তাদের এই নাশকতার দায়িত্ব নিতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য