1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সঙ্গে তুরস্কের মিল!

২ ডিসেম্বর ২০১৬

কথাটা বলেছেন তুরস্ক থেকে জার্মানিতে পালিয়ে আসা মাজহার জুমরুত৷ এর্দোয়ান সরকারের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত মে মাসে জার্মানিতে পৌঁছান এই কুর্দি মানুষটি৷

https://p.dw.com/p/2TcJi
মাজহার জুমরুত
মাজহার জুমরুতছবি: DW/V. Witting

সাবেক এই সরকারি চাকুরের বর্তমান বয়স ৬২৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে (কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি)-র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে জুমরুতের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ৷ তখনই তিনি বুঝতে পারেন তাঁর পক্ষে আর তুরস্কে থাকা সম্ভব নয়৷ তাই তিনি প্রথমে সিরিয়া, তারপর ইরাক হয়ে জার্মানিতে পৌঁছান৷

ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সরকারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জুমরুত বলেন, তিনি কুর্দি দল বিডিপি-র (পিস অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক পার্টি) সদস্য৷ বিডিপি হচ্ছে কুর্দিপন্থি দল এইচডিপি (পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি)-র একটি শাখা দল৷ তুরস্কের সংসদে এইচডিপি-র সদস্য আছে, যাঁদের গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷

জুমরুত জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ থাকছেন আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত একটি কেন্দ্রে৷ সেখানে বসে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তিনি৷ কারণ তাঁর ভয়, ঐ কেন্দ্রে এমন লোক থাকতে পারে যারা আসলে এর্দোয়ান সরকারের গুপ্তচর৷

জুমরুত বলেন, এর্দোয়ানের আমলে নির্যাতন, নিপীড়নের সংখ্যা অনেক বেড়েছে৷ ‘‘যে তুরস্ক থেকে আমি পালিয়ে এসেছি, ১৯৩৩ সালে জার্মানিতে সেই অবস্থা ছিল'', বলেন তিনি৷ উল্লেখ্য, সেই বছর আডল্ফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন৷

জুমরুতের মতো অনেক কুর্দি এ বছর জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক জার্মানির কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএএমএফ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তুরস্কের ৪,৪৩৭ জন নাগরিক জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১,৭৬৭৷

নিপীড়িতদের পাশে জার্মানি

জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিশায়েল রোট সম্প্রতি বলেন, ‘‘সরকারের সমালোচনা করা তুর্কি নাগরিকদের জানা উচিত যে, জার্মান সরকার তাঁদের সঙ্গে আছে৷ রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকাররা এখানে (জার্মানি) আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন৷''

রোটের এই বক্তব্য জুমরুতের মনে আশা জাগিয়েছে৷ তাঁকে কিছুটা নিশ্চিতও করেছে৷ তাঁর আবেদন গ্রহণ হবে বলে আশা করছেন তিনি৷ এরপর তুরস্কে থাকা তাঁর স্ত্রীকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে চান জুমরুত৷ তাঁর স্ত্রীও এখন তুরস্কে গোপন স্থানে বসবাস করছেন৷ জুমরত তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ভয় পান৷ কারণ টেলিফোনে নজরদারি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন৷

ফল্কার ভিটিং/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য