২০১০ সালের ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার পেলেন শাহীন দিল-রিয়াজ
১৩ মার্চ ২০১০বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বাৎসরিক খরার জন্য, ক্ষুধার জ্বালায় অথবা অনাহারী সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে, দক্ষিণে জাহাজ ভাঙ্গার কারখানায় পাড়ি জমায় পুরুষরা৷ উন্নত বিশ্বের বাতিল হয়ে যাওয়া এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থে ভরা সব জাহাজ দাঁড়িয়ে সেখানে৷ যেখানে, নিজেদের জীবন বাজি রেখে জাহাজ কেটে লোহার পাতে পরিণত করে ঐ সব শ্রমিক৷ লোহার ভারী ভারী দড়ি টেনে জাহাজে বাঁধে তারা৷ ওয়েল্ডিং করে৷ অথচ তাদের মাথায় থাকে না হেলমেট, থাকে না পায়ের জুতো, কোনরকম নিরাপত্তা, ডাক্তার অথবা স্ট্রেচার৷
মজার বিষয়, সে সব লোহার ওপর ভিত্তি করেই একসময় গড়ে ওঠে শহরের বড় বড় ইমারত৷ বিদেশে রপ্তানি হয় লোহা৷ কিন্তু এসব শ্রমিকের ভাগে কি জোটে? সারাদিনের বেতন মাত্র ৮০ টাকা৷ তার ওপর প্রতিদিন কাজের নিশ্চয়তাও নেই সে কারখানায়৷ তাই মৌসুমের শেষে অনেককেই বাড়ি ফিরতে হয় খালি হাতে৷ শুরু হয় দারিদ্রের আরো একটা দুষ্টচক্র৷ তাই সেই পটভূমির আবহ নির্মাণেই শাহীন দিল-রিয়াজের স্বার্থকতা৷ সেখানকার মানুষদের সঙ্গে তাঁর আন্তরিকতা আর ছবি তৈরির ক্ষেত্রে মুনশিয়ানা ছুঁয়ে যায় দর্শকের মন৷ অচিরেই একদিন যা জয় করে ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার৷
প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ
সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই