২০১৪ সালের মধ্যে জার্মান সেনারা ফিরে আসবে দেশে
১৫ ডিসেম্বর ২০১১আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ভেস্টারভেলে জানান, ‘‘দশ বছর আগে আফগানিস্তানের যা অবস্থা ছিল এখনকার অবস্থা তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো৷ দশ বছর আগে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ছিল আরো অনেক বেশি ভয়াবহ৷'' তিনি জানান, আজকের যে আফগানিস্তান, এর পেছনে জার্মান কূটনীতিক এবং জার্মান সেনাদের বিশাল অবদান রয়েছে৷ তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷
জানুয়ারি মাসের শেষে মাত্র চার হাজার হাজার নয়শো জার্মান সেনা আফগানিস্তানে মোতায়ন থাকবে৷ ২০১৩ সালের গোড়ার দিকেই জার্মান সৈন্য সংখ্যা সেখানে চার হাজার চারশোতে কমিয়ে আনা হবে৷ এবং আগামী তিন বছররে মধ্যে বেশির ভাগ জার্মান সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷
ভেস্টারভেলে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেন, ২০১৪ সালে ন্যাটোর সামরিক অপারেশন শেষ হবার পরেও বিশ্ব সমাজ আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করবেনা৷ তিনি বলেন: ‘‘আমরা এমন কোন শূন্যতা সেখানে রেখে আসবনা, যে-শূন্যতায় নতুন করে সন্ত্রাস পুষ্টি পাবে৷''
আফগানিস্তান ছিল ক্রান্তিলগ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই অপারেশনের তাৎপর্য একেবারেই হারিয়ে যায়নি৷ এর উদ্দেশ্য ছিল আমাদের দেশের ওপর থেকে প্রাণঘাতী হুমকিটাকে সরিয়ে দেয়া৷ তিনি বলেন, এই বছরটা ছিল আন্তর্জাতিক মহলের আফগানিস্তাননীতির ক্ষেত্রে একটা ক্রান্তিলগ্ন৷
গিডো ভেস্টারভেলে বেশ জোর দিয়েই বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে কোন সামরিক সমাধান নয় শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সমাধানই হতে পারে৷ তাই চরম উগ্রপন্থী নয় এরকম তালেবানের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পথ তাই জার্মানি সমর্থন করছে৷
সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির রাজনীতিক গের্নট এর্লার জার্মান সেনাদের সরিয়ে আনার বিষয়টিকে সমর্থন করলেও আরেকটি বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ তিনি বলেন, একটি কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আর তা হল কঠিন পরীক্ষার এক সময় এবার আফগানিস্তানের সামনে৷ আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করার যথার্থ ক্ষমতা আফগান সেনাদের আছে কিনা সেই প্রশ্নের এখনো কোন সুরাহা হয়নি৷ কঠিন এক পরীক্ষার সময় এখন আফগানিস্তানের সামনে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক