২০১৮ সালে যে ১০টি শহরে যেতে পারেন
দিন দিন সিটি ট্যুরের জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ আর সে কথা মাথায় রেখেই পর্যটন সাইট ‘লোনলি প্ল্যানেট’ নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে৷ ভ্রমণের জন্য আগামী বছর সেই জায়গাগুলোকে মানুষ কেন বাছাই করবেন, সেকথাই বলা হয়েছে৷ চলুন দেখে আসি শহরগুলো৷
স্পেনের সেভিয়া
‘লোনলি প্ল্যানেট’ তাদের সুপারিশ তালিকার একেবারে শীর্ষে রেখেছে সেভিয়াকে৷ ভীষণ শৈল্পিক এই শহরে গেলেই মানুষ টেলিভিশনের তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘গেইম অফ থ্রোনস-’এর অসংখ্য সেট যেন চোখের সামনে দেখতে পাবেন৷ তার ওপর ট্রাফিক জ্যামে জর্জরিত এই শহর গত কয়েক বছরে সাইকেলের শহরে পরিণত হওয়ায়, পর্যটকরা এখন আরামেই ঘুরতে পারবেন৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট
এক সময়ের ‘মোটর শহর’ খ্যাত ডেট্রয়েট কয়েক দশকের অবহেলার পর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ সৃজনশীল তরুণরা যখন সাইকেলের দোকান আর গ্যালারির দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে তখন থেকেই এই পরিবর্তন আসা আরম্ভ হয়৷ লোনলি প্ল্যানেটের ভাষ্য মতে, ব্যাকপ্যাকারদের মধ্যে এই শহর বিশেষভাবে জনপ্রিয়৷
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা
আপনি যদি ক্যানবেরাতে যান তবে অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন৷ ন্যাশনাল গ্যালারি, ন্যাশনাল লাইব্রেরি এবং অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার মিউজিয়াম থেকে অনেক নতুন কিছু জানতে পারবেন৷ ন্যাশনাল আরবোরেটামও ভ্রমণের এক অসাধারণ জায়গা৷ ২৫০ হেক্টর এলাকার এই পার্কে হাইকিং ও সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা আছে৷ অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের চারপাশের ৯৪টি বিরল বন, বিপন্ন এবং প্রতীকী গাছপালা আছে এই পার্কে৷
জার্মানির হামবুর্গ
কেবল নতুন এল্বফিলহারমনিক কনসার্ট হলের কারণেই ভ্রমণকারীদের কাছে জার্মানির হামবুর্গ এতটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি৷ লোনলি প্ল্যানেট বলছে, রক্ষণশীল নয় এমন মানসিকতা আর নাইট লাইফের কারণেও হামবুর্গ ইউরোপের সেরাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে৷
তাইওয়ানের কাওহসিউং
লোনলি প্ল্যানেটের শীর্ষ দশে জায়গা পাওয়া একমাত্র এশীয় শহর তাইওয়ানের কাওহসিউং৷ এই বন্দরনগরীতে ঐতিহ্যবাহী মন্দির, উঁচু ভবনে থাকা ক্যাফে, প্রশস্ত সড়ক, জলাভূমির পাশের পার্ক, গণপরিবহন, সাইকেল লেন এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ভেন্যু খুব আকর্ষণীয়৷
বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প
এক সময়ের ইউরোপের সবচেয়ে বড় শহর অ্যান্টওয়ার্প ক্লাসিক্যাল আর আধুনিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ৷
ইতালির মাতেরা
মানুষ বাস করে, পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এমন শহরগুলোর মধ্যে একটি হলো মাতেরা৷ ৯ হাজার বছরের পুরনো গুহার মতো ঘরবাড়ি, গীর্জা ও মঠ আছে এই শহরে৷ ইউরোপীয় সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ২০১৯ সালে বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টের আগাম পরিকল্পনাও তারা করেছে৷ কাজেই এমন সময়কেই বেছে নেয়া উচিত ভ্রমণের জন্য৷
পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ান
সান জুয়ান হলো সেই শহর যেখানে ঔপনিবেশিক আর আধুনিক নগরজীবনের দারুণ মিশেল ঘটেছে৷ সেপ্টেম্বরে এই দ্বীপটিতে গত ৮৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হারিকেন ‘মারিয়া’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ সান জুয়ানও হারিকেনের আঘাত থেকে রক্ষা পায়নি৷ তবে তারপরও এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এই শহর আবারও নিজেদের আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারবে৷
মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতো
ভীষণ সুন্দর এক টুকরা রুপার আস্তরণের ওপর দিয়ে কোনো কিছু দেখতে যেমন লাগে এই শহরের কারুকাজময় গীর্জা, চমত্কার স্কয়ার আর রংবেরংয়ের বাড়িঘরও ঠিক তেমন৷
নরওয়ের অসলো
শীর্ষ দশে জায়গা করে নেয়া পঞ্চম ইউরোপীয় শহর অসলো৷ ২০১৮তে এই শহর নানা আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে৷ এ বছর নরওয়েজিয়ানরা তাঁদের প্রিয় রাজা- রাণীর ৫০তম বিবাহবার্ষিকী উৎযাপন করবে, একইসাথে অসলোতে কনসার্ট আর পারফরমেন্সের ল্যান্ডমার্ক অপেরা হাউস তাদের প্রতিষ্ঠার দশম বছর পালন করবে৷ কাজেই অসলো ভ্রমনের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতেই পারে না৷