২০১৯-এর প্রতিবাদ-বার্ষিকীতে ইরানে আবার বিক্ষোভ
১৬ নভেম্বর ২০২২সরকার বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিক্ষোভ দেখলেই কড়াভাবে তার মোকাবিলা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ইরানের আদালত এক বিক্ষোভকারীর প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাঁচজনের কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তেহরান-সহ অন্য শহরে বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ তো আছেই, সেই সঙ্গে মঙ্গলবার যুক্ত হয়েছে ২০১৯ সালের সরকারি-বিরোধী প্রতিবাদের স্মরণে পথে নামা। গত কয়েকদিন ধরেই এই বিক্ষোভ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চলছিল। অনেকে লিখিত আবেদনও বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসছিলেন। তার জেরে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন।
ছাত্র ও কর্মীদের ধর্মঘট
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তেহরানের বাজারে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে। সব দোকান বন্ধ।
তরুণ বিক্ষোভকারীদের আবেদন ছিল, মানুষ বাড়ি থেকে পথে নেমে রাস্তা দখল করে নিক। সব শহরের রাস্তা বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যাক।
সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টে বলা হয়েছে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়লয়ে আগের মতোই বিক্ষোভ হতে থাকবে। সেই সঙ্গে পাড়ায় পাড়ায়, রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে হবে।
নরওয়ে-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, ১৬টি শহরে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেছে।
'রক্তাক্ত নভেম্বর' প্রতিবাদ কেন?
তিন বছর আগে ১৫ নভেম্বর তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মানুষ। কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদকারীরা ব্য়াংক , গ্যাস স্টেশন লুট করে, থানা আক্রমণ করে।
কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ ইন্টারনেট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ দমন করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, অন্ততপক্ষে ৩০৪ জন মারা গেছিলেন। একশরও বেশি শহরে এই বিক্ষোভছড়িয়েছিল।
নরওয়ে-ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস গ্রুপ জানিয়েছে, এখন মাহসা আমিনির হত্যার প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ চলছে, সেখানেও ৩২৬ জনের বেশি বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফফি, রয়টার্স)