২০২০ সালের ক্রিসমাসে করোনার প্রভাব
মহামারীর এই বছরে ক্রিসমাসে উৎসবমুখর পরিবেশ আশা করাটা সত্যিই কঠিন৷ এই ছবিগুলো আপনাকে করোনাকালে ক্রিসমাস উদযাপনের কিছুটা ধারণা দেবে৷
সান্তার নতুন চেহারা
লাল নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল এবং উৎসবের রং৷ এ কারণে মাস্ক হিসেবে লাল রংকেই বেছে নিয়েছেন সান্তা৷ লন্ডনের সেল্ফরিগেজ ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এভাবেই দেখা মিললো সান্তা ক্লজের৷ মাস্কটা তার পোশাকের লাল রঙের সাথেও মানানসই৷
মিষ্টি মাস্ক
২০২০ সালে চকোলেটের সান্তার মুখেও আছে মাস্ক, উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধি৷ জার্মানির বাভেরিয়া রাজ্যের বাড কোয়নিগসহোফেন শহরে রুবি নামে ক্রিসমাসের ঐতিহ্যবাহী চকলেটে সান্তার মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে৷ এ বছর সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় আছে এই চকোলেট৷
ক্রিসমাস ডেকোরেশনে করোনা
জার্মানিতে ক্রিসমাস আয়োজন শুরু হয় এক মাস আগে থেকে৷ পাহাড়ি এলাকা সাক্সনের জাইফেন শহরে খেলনা প্রস্তুতকারী টিনো গ্যুন্টার ঐতিহ্যবাহী স্মোকার ফিগারাইনে নতুন সংযোজন করেছেন এই চরিত্র৷ জার্মান ভাইরোলজিস্ট ক্রিস্টিয়ান ড্রোস্টেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে পুতুলটি৷ করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর জার্মানির প্রতিটি মানুষের কাছে এই নাম এখন পরিচিত৷
সান্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ
লন্ডনের সান্তা ক্লজ স্কুলে এবার করোনার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে সান্তাদের৷ এই মেট্রোতে চেপে তারা রওনা দিয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট স্টোর, শপিং মল আর রাস্তার উদ্দেশ্যে, যেখানে তারা ছড়িয়ে দেবে ক্রিসমাসের আনন্দ বার্তা৷
বিশাল বিশাল সাজ-সরঞ্জাম
ক্রিসমাস মৌসুমে দোকানে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে ঐতিহ্যবাহী ডোনস৷ নিউ ইয়র্ক সিটিতে এ বছর শপিংমলগুলোতে সাজ সরঞ্জাম কিছুটা কম৷ তবে সিক্সথ এভিনিউতে বিশাল বিশাল এই ডোনসগুলো সেই অভাব কিছুটা পূরণ করেছে৷
সৌলে স্ন্যাপশট
এশিয়ার দেশগুলোতে বিভিন্ন দোকান আর রাস্তায় ক্রিসমাসের ডেকোরেশন দেখতে পাওয়া যায়৷ পথচারীরা সুন্দর ডেকোরেশন দেখলে ছবি তোলার সুযোগ হাতছাড়া করেন না৷ এ বছর ক্রিসমাসের সাজসজ্জায় জাঁকজমক কম৷ তাই সৌলের রাস্তায় এই ছোট দোকানের সামনেও ছবি তুলছেন দুই নারী৷
চাপমুক্ত হতে একটু অবসর
এই সান্তা ক্লজকে দেখলে যে কেউ ভাববেন বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে অবসর কাটাচ্ছেন তিনি৷ মৃত সাগরে একটি ডেক চেয়ারে বসে আছে সান্তা-এই আইডিয়া ইসরায়েলি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের৷ যদিও এই ছবি দেখে যে কারও মনে হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে সান্তা!
আমার বাড়ি, আমার প্রাসাদ
জার্মানির লোয়ার সাক্সনির ডেলমেনহোর্স্ট শহরের একটি বাড়ি এটি৷ বাড়িটি এত সুন্দর করে সাজানো যে মনে হচ্ছে ‘ক্রিসমাসের জাদুর জগৎ’৷ পুরো বাড়িটা সাজাতে কয়েক মাস লেগেছে বাসিন্দাদের৷ লাগানো হয়েছে ৬০ হাজার আলো৷ এমনকি সান্তা ক্লজ যাতে সহজেই বাড়ি চিনতে পারে, সেজন্য চিমনিতে ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
কোলোনে ক্রিসমাস
কোলোন ক্যাথেড্রালের পাশে ক্রিসমাস মার্কেট মানে প্রতিবছর জমজমাট আয়োজন আর আলোর ঝলকানি৷ শত শত পর্যটকের পদচারণায় পুরো একমাস মুখর থাকতো এর চত্বর৷ আর এই বছর কেবল একটা তারা শোভা পাচ্ছে ক্রিসমাসের ডেকোরেশন হিসেবে৷