২০২২ সালে কোথায় যাবেন?
করোনার কারণে অনেকেই ভ্রমণ করতে পারেননি৷ আশা করা যায়, ২০২২ সাল থেকে আবার প্রায় স্বাভাবিকভাবেই ভ্রমণ করতে পারবেন৷ কিন্তু যাবেন কোথায়? লোনলি প্লানেটের তালিকায় এই স্থানগুলো শীর্ষে৷
কোন শহর?
শহর ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থানে আছে জার্মানির শহর ফ্রাইবুর্গ৷ তারুণ্যে ভরপুর এই শহরে রয়েছে সবুজের সমারোহ৷ প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দার এই নগরটি কার্বনমুক্ত এবং কাছেই রয়েছে অপূর্ব উপত্যকা আর কৃষ্ণঅরণ্য৷
দ্বিতীয়তে তাইপে
তাইওয়ানের তাইপে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে৷ পশ্চিমের সঙ্গে চীনা আর জাপানি সংস্কৃতির মিশেলে গড়ে উঠেছে আধুনিক ভবনগুলো৷ রয়েছে নানা ধর্মের মন্দির৷
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড এক নম্বরে
অকল্যান্ড সম্পর্কে একটা শব্দই খাটে- ‘ইউনিক’৷ ৫৩টি আগ্নেয়গিরি, ৫০-এর বেশি দ্বীপ, তিনটি ওয়াইন অঞ্চল ও অসংখ্য বিচ৷ দেড় মিলিয়ন অধিবাসীর এই এলাকায় আছে রেইনফরেস্ট, সার্ফিং উপযোগী বিচসহ অসংখ্য উপভোগ্য বিষয়৷
অঞ্চলভেদে তৃতীয় স্থানে চীনের জিশুয়াংবান্না
চীনের দক্ষিণে গহীন অঞ্চল জিশুয়াংবান্না৷ মিয়ানমার ও লাওসের সঙ্গে লাগোয়া৷ আগে শুধু ব্যাকপ্যাকারদের ঘোরার জায়গা ছিল৷ তবে এখন পর্যটকদের জন্য নানা ব্যবস্থা রয়েছে৷
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া দ্বিতীয় স্থানে
অ্যামেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার জনসংখ্যা কম, সেখানে পর্যটকদের আনাগোনাও কম৷ তাই প্রকৃতি এখনো অনেকটাই অধরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের এই অংশটিকে ‘মাউন্টেন স্টেট’ বা পর্বতরাজ্য বলা হয়৷
এক নম্বরে ওয়েস্টফিয়োর্ডস
এই অঞ্চলটি ফিনল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ৭ কিলোমিটার লম্বা মোহনা দিয়ে যুক্ত৷ হাজার বছর আগে ভাইকিংসরা সেখানে বসতি স্থাপন করে৷
দেশ হিসেবে তৃতীয় মরিশাস
ভারত মহাসাগরে পাথুরে দ্বীপ আর অসাধারণ সব সৈকত- এক কথায় স্বর্গ৷ বিখ্যাত গল্পকার মার্ক টোয়েনের ভাষায় এই হলো মরিশাস৷ তিন নম্বরে আছে এই দেশটি৷
দ্বিতীয় স্থানে নরওয়ে
নরওয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বাসযোগ্য দেশ৷ এদের ৯৯ ভাগ বিদ্যুৎ আসে পানি থাকে৷ ৬০ ভাগ গাড়ি বিদ্যুতে চলে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে তারা কার্বন নির্গমনমুক্ত হবে৷
প্রথম স্থানে কুক আইল্যান্ডস
পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র ও দুর্গম দেশটিতে ১৫টি আগ্নেয়গিরি দ্বীপ রয়েছে৷ অসম্ভব সুন্দর দেশটি পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধ৷
ডাকছে পৃথিবী
এমন চমৎকার ছবিগুলো দেখার পর আর কি ঘরে বসে থাকা যায়? এখনই পরিকল্পনা করুন৷ আর বেরিয়ে পড়ুন অজানাকে জানতে৷