২০২২ সালে জার্মানির সেরা ১২ আকর্ষণ
ওমিক্রন আসায় আবার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা নিয়ে দুর্ভাবনা৷ এর মাঝেই নতুন বছরে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনাও করছেন অনেকে৷ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না থাকলে নিশ্চয়ই জার্মানির এই ১২টি আকর্ষণ টানবে তাদের...
জানুয়ারি : একসঙ্গে চার দেশ দেখার সুযোগ
বছরের শুরুতে বরফে ঢাকা পাহাড় দেখা অনন্য এক অভিজ্ঞতা৷ সুগস্পিৎসে পাহাড় তাই জানুয়ারির প্রধান আকর্ষণ৷ জার্মানির সবচেয়ে উঁচু এই পাহাড়ে উঠলে অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড আর ইটালিও দেখা যায়৷ পাহাড়টি আসলে চার দেশেই বিস্তৃত৷তবে সেখানে সবাইকে করোনা টিকা নিয়ে মাস্ক পরে যেতে হবে৷
ফেব্রুয়ারি : কার্নিভাল
জার্মানিতে ফেব্রুয়ারি মানেই কার্নিভাল৷ করোনার কারণে অবশ্য কোলন শহরে রোজেন মোন্টাগের প্যারেড খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে কার্নিভাল উদযাপন করা যায় তা নিয়ে বন এবং আখেন শহর কর্তৃপক্ষও ভাবছে৷
মার্চ : বসন্তের সূর্যোদয়
জার্মানিতে যেসব অঞ্চলে সবচেয়ে কম শীত, ব্রিসগাউ সেগুলোর অন্যতম৷ তো বসন্তের স্নিগ্ধ আকাশে যদি ভোরের সূর্য দেখতে চান, তাহলে যেতে পারেন কাইজারস্টুল পাহাড়ে৷পাহাড়টা মাত্র ৫৫৬.৮ মিটার উঁচু৷ তাই পাহাড়ে উঠে গাছে গাছে সবুজ, কচি পাতা দেখার আনন্দও পাবেন সহজেই৷
এপ্রিল : হানামি স্পট
হানামি শব্দের অর্থ ফুল ফোটা দেখা৷ বিশেষ করে চেরি ফুল ফোটার সময়ে হানামি কথাটা শোনা যায় বেশি৷ চেরি ফুলের উৎসবের জন্য জাপান খুব বিখ্যাত, তবে জার্মানিতেও আছে কিছু হানামি স্পট৷ হামবুর্গে আল্টোনা টাউন হল, বার্লিনে ব্যোজেব্র্যুকে ব্রিজ আর বন শহরে হেয়ারস্ট্রাসে- এর যে কোনো এক জায়গায় গেলে দেখতে পাবেন তরতাজা চেরি ফুলের সমারোহ৷
মে : যিশুর জীবনের শেষ পাঁচদিন
করোনার কারণে ২০২০ সালে ৪২তম ওবারআমেরগাউ প্যাশন প্লে হয়নি৷ তবে এ বছর ২ মে থেকে তা আবার আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ বাভারিয়ান অঞ্চলের ছোট শহর ওবারআমেরগাউ-এ পাঁচদিনের এই অনুষ্ঠানে মূলত যিশু খ্রীষ্টের জীবনের শেষ পাঁচদিনকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়৷
জুন : ডোকুমেন্টা শিল্পমেলা
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে আগামী ১৮ জুন থেকে কাসেল শহরের চেহারা একেবারে বদলে যাবে৷সেদিন থেকে যে ডোকুমেন্টা শিল্পমেলা শুরু হওয়ার কথা! পাঁচ বছরে একবার হয় এই মেলা৷ এবারের থিম ‘লুমবুং’৷ ইন্দোনেশিয়ার শব্দ লুমবুং মানে ‘সাম্প্রদায়িক ধানের শষ্যাগার’৷ এ আসলে উদ্বৃত্ত ধান একজায়গায় জমিয়ে রাখার এমন এক রীতি, যার মাধ্যমে ইন্দোনেশীয়রা মানুষে মানুষে ঐক্য ও মিলনের বার্তা সবার মাঝে ছড়াতে চায়৷
জুলাই : সমুদ্রবিলাস
এই সময়টায় প্রকৃতির কোলে তাঁবু খাটিয়ে কিছুটা সময় একান্তে কাটাতে চায় জার্মানরা৷ প্রধান আকর্ষণ নর্থ সি এবং বাল্টিক সি-র কাছের সুনিল আকাশ আর সুবিস্তৃত বালুকাবেলা৷
আগস্ট : ভানজে-র আশ্রয়
বছরের এই সময়টায় খুব গরম থাকে জার্মানিতে৷ সবাই চায় শীতল পরিবেশ৷বার্লিনের একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা ভানজে-র প্রকৃতি তাই চলে আসে আকর্ষণের কেন্দ্রে৷ হ্রদ পরিবেষ্টিত ভানজের সৌন্দর্যের তখন কোনো তুলনাই হয় না৷
সেপ্টেম্বর : অক্টোবরফেস্ট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সাংস্কৃতিক উৎসব দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা ভিড় জমান মিউনিখে৷ করোনার কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে জার্মানির এ শহর উৎসবের সাজে সাজেনি৷ তবে আশা করা যায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবার হবে এ উৎসব৷
অক্টোবর : বোহেমিয়ান সুইজারল্যান্ড
শরতের এই সময়ে চেক প্রজাতন্ত্র সংলগ্ন বোহেমিয়ান সুইজারল্যান্ড অঞ্চল জার্মানদের খুব পছন্দ৷সেখানে গেলে বাস্তাই ব্রিজ, এডমুন্ডসক্লাম না দেখা খুব বড় ভুল৷
নভেম্বর : ছোট শহরের বড় আকর্ষণ
এই সময়টা জার্মানির ছোট কয়েকটি শহরে শীত উপভোগের জন্য আদর্শ৷রটেনবার্গ অব ডেয়ার টাউবার, হাইডেলবার্গ বা লোয়ার স্যাক্সনির হামেল্ন শহরে গেলে চিত্তাকর্ষক স্থাপত্য এবং প্রকৃতি- দুই-ই প্রাণ ভরে দেখা যায়৷
ডিসেম্বর : বর্ণিল ক্রিসমাস মার্কেট
ডিসেম্বর মানেই বড় দিনের উৎসব৷ করোনার বাধা না থাকলে বছরের শেষ মাসটা জার্মানির সব শহরই যে উৎসবের রঙে সাজবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷