জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর বৃহস্পতিবার ১৭ তম দিনে মহাসমাবেশের মাধ্যমে আবারো দৃঢ় প্রত্যয়ে জানালো, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ছাড়া তাঁরা ঘরে ফিরবেন না৷ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে৷ তাদের সব ব্যবসা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে৷
বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশ শাহবাগকে কেন্দ্র করে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে৷ এই সমাবেশে অংশ নেয়া সব শ্রেণির মানুষ জানালেন, তরুণরা তাদের প্রাণের দাবিই তুলে ধরেছে৷ তারা জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে৷ মুক্তিযোদ্ধারা বললেন, তাদের স্বপ্ন এই তরুণরাই বাস্তবায়ন করবে৷
তরুণরা জানালেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা থামবেন না৷ ঘরে ফিরবেন না৷ তাঁরা সবাইকে ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচার সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান৷
সমাবেশে বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সুশীল সমাজ, রজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি এবং পেশার মানুষ একাত্ম হন৷ বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা৷ তাঁরা বলেন, তাদের এই অহিংস আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিতে সবাইকে সতর্কতা থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে৷
সমাবেশে ব্লগার ইমরান এইচ সরকার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ ব্লগার রাজীবসহ এই আন্দোলনের যারা নিহত হয়েছেন তাঁদের হত্যাকারীদের ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে৷ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কাজ শেষ করতে হবে ২৬শে মার্চের মধ্যে৷ যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রতিটি রায়ের আগের দিন বিকেল থেকে শাহবাগসহ সারা দেশে হবে গণ জমায়েত৷ প্রতি শুক্রবার হবে প্রতিবাদী সমাবেশ৷
শুক্রবার সারা দেশের মসজিদে জুম্মার নামাজের পর দেশের সব মসজিদে আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হবে৷ মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে হবে প্রার্থনা৷ ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে সারা দেশে সমাবেশ, প্রতিবাদী সমাবেশে , মহাসমাবেশ এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে৷ বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ শুরু হয় পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, সব ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে৷