৩০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের জবাবে এসইসি’র আট পৃষ্ঠার চিঠি
২৪ এপ্রিল ২০১১এসইসি বলছে, পুঁজিবাজারের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে কমিটির ‘সম্যক ধারণার' অভাব রয়েছে৷ এ হল সমকালের খবর৷ পত্রিকাটি চিঠি থেকেই উদ্ধৃত করেছে: ‘২০১০ সালের প্রায় সম্পূর্ণ সময় জুড়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে যে মূল্যস্ফীতি ঘটেছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে এসইসি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে৷ একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকও যদি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ শুরু থেকে আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করত, তাহলে সম্ভবত এ বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হতো৷'
তা বলে এই চিঠির ফলে প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিতর্ক বাড়বে বৈ কমবে না৷ ভোরের কাগজের প্রতিবেদকের মতে শেয়ারবাজারের সংকট তো শুধু অতীতের নয়, বর্তমানেও ‘চরম আস্থার সংকটে দেশের শেয়ারবাজার৷ কিছুতেই ফিরছে না গতি,' লিখছে পত্রিকাটি৷ এবং যোগ করেছে: ‘গত কয়েকদিন ধরে যে বাগবিতণ্ডা চলছে তাতে লক্ষ্য করা গেছে কারো বক্তব্যের সঙ্গে কারো বক্তব্যের মিল নেই৷ আর এসব কারণেই শুরু হয়েছে আস্থাহীনতা৷'
লঞ্চ দুর্ঘটনা হলেই লঞ্চের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সঙ্গত কারণেই৷ ইত্তেফাকের প্রতিবেদনের শীর্ষকই হল: ‘১২ হাজার লঞ্চের ফিটনেস নেই'৷ দেশে নৌ দুর্ঘটনা বাড়ার কারণ হিসেবে ‘চালকদের অদক্ষতা, যাত্রীদের অসচেতনতা ও যথাযথ নজরদারির অভাবে'-র কথাও বলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, ‘নিয়ম মেনে নৌযান চলাচলের অভ্যাস গড়ে ওঠেনি৷' ওদিকে দেশের ২০ হাজার লঞ্চের মধ্যে ১২ হাজার লঞ্চেরই ফিটনেস নেই৷ পত্রিকাটির ভাষায়: ‘মৃত্যু যেন প্রতিটি নদীর বাঁকে ওত পেতে রয়েছে৷'
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এমভি বিপাশার দুর্ঘটনার পরও তদন্ত হবে, রিপোর্ট আসবে, কিন্তু আইন কি বদলাবে? এনজিও আইন 'ধামাচাপা' পড়া নিয়ে ঠিক সেই প্রশ্নই তুলেছে কালের কণ্ঠ৷ বেসরকারি সংস্থাগুলোর সার্বিক কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সংক্রান্ত আইনের খসড়াটি বছর খানেক আগে চূড়ান্ত হলেও, ‘রহস্যজনক' কারণে আজও তা আলোর মুখ দেখেনি, লিখছে পত্রিকাটি৷ ফলে ৫০ বছরের পুরনো আইন দিয়েই আড়াই লাখ এনিজিও'র যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলেছে৷
কিন্তু সেখানে তো গত চল্লিশ বছরে দশ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়নি, যেমন নৌ দুর্ঘটনায় হারিয়েছে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম