৩৬৫ দিনই নারীকে সম্মান দিতে হবে
৯ মার্চ ২০১৬‘‘আপনারা একদিনের জন্যে নারী নারী কইয়া পাগল কেন হবেন? ৩৬৫ দিনই নারীকে সম্মান দিতে হবে৷ আমরা মুসলিম, আমরা নারীকে সম্মান দিতে জানি৷'' আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য পাঠক এস তালুকদারের৷
অন্যদিকে নারী-পুরুষের সমান অধিকারে মোটেই বিশ্বাসী নন ফেসবুক বন্ধু আবদুল্লাহ নোমান৷ তিনি মনে করেন, নারী কখনো পুরুষদের সমান কাজ করতে পারবে না৷ কাজেই তাঁদের সমান অধিকার দেওয়া যাবে না৷
সুজায়েত তাজিম ইমনও অনেকটা এরকমই মনে করেন নারী অধিকার সম্পর্কে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘নারীরা বোঝে না যে সব কিছুর সমান অধিকার হয় না৷ পুরুষের পক্ষে যেমন নারী হওয়া যায় না, ঠিক নারীর পক্ষে তেমন পুরুষ হওয়া যায় না৷ আর এই পার্থক্য সৃষ্টির শুরু থেকে৷''
যে কোনো কারণেই হোক ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আবুল হাসেম নারীদের ওপর বেশ বিরক্ত৷ তাঁর মতে, ‘‘আর কত ক্ষমতা? প্রতিটি পরিবারে পুরুষের চাপা কান্না কে দেখে! এই ক্ষমতাধর নারীদের কাছে দেশ, সমাজ, পরিবার, সন্তান, কিছুই তো আর নিরাপদ নয়!''
তবে আমাদের বন্ধু অর্জুন বৈদ্য নারী অধিকার এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনে বিশ্বাসী৷ তিনি বিশ্বাস করেন যে, নারীরাই সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে৷ যার একটি সুন্দর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি এভাবে, ‘‘এই পরিস্থিতি পাল্টাতে নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে৷ কারণ আমি বিশ্বাস করি, একজন মা-ই পারে একটা সমাজ বদলে দিতে৷ একজন মা যদি তার সন্তানকে নারী বিদ্বেষী না করে মানুষ ভাবতে আর সমঅধিকার চিন্তা দিয়ে মানুষ করে, সে সমাজ পাল্টাতে বাধ্য৷ আমি এখনো দেখি, একজন মা তার মেয়েকে সাপোর্ট করে না, শাশুড়ি বউকে সাপোর্ট করে না৷ তাহলে তারা সাহস পাবে কার কাছ থেকে? তাছাড়া অনেক পুরুষও আছে যারা আজকের নারী অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রেখেছে৷'’
নারী-পুরুষ সমান হলে তো আর আলাদাভাবে নারী দিবস পালিত হতো না৷ আর ঠিক একথাই বোঝাতে চেয়েছেন পাঠক মসুম চৌধুরী৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নারীকে নারী হিসেবে না দেখে যতদিন না পর্যন্ত মানুষ হিসেবে দেখবো, ততদিন পর্যন্ত নারী দিবস পালন করে যেতে হবে !''
বন্ধু পিযুষ কুমার দাস তো আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে বলছেন, ‘‘জগতে যা কিছু সুন্দর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক করিয়াছে নর৷''
ডয়চে ভেলের বহু পুরনো বন্ধু অসিত কুমার দাস মিন্টু আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে তাঁদের ক্লাবের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলের মাধ্যমে সকল নারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের মঙ্গল কামনা করেছেনষ শুধু তাউ নয়, তারা যাতে পুরুষদের মতো সর্বক্ষেত্রে সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, এমনটাই আশা করেছেন তিনি৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ