৪ মাসে ৭৯ বাংলাদেশিকে ফেরত রোমানিয়ার
১৪ মে ২০২৩এই অভিবাসীদের মধ্যে ৭৯ জন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির অভিবাসন দপ্তর৷
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করে রোমানিয়া পুলিশ ও অভিবাসন দপ্তর৷
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন জানায়, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭৩ জনকে রোমানিয়ার বিমানবন্দর থেকে বিমানযোগে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ২৩ অভিবাসীকে ফ্রন্টেক্স অথবা রোমানিয়া পুলিশের তত্ত্ববধানে নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে৷
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের বেশিরভাগই অবৈধ উপায়ে রোমানিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে শেঙেন জোনে প্রবেশের চেষ্টা করে পুলিশের হাতে আটক হন৷ এছাড়াও অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে অবস্থান ও কাজে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান থেকেও অনেককে আটক করা হয়৷ তাদের একটি অংশকে স্বেচ্ছায় ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগের নোটিশ দেয়া হয়েছিল৷ এই আইনি নোটিশ না মানায় সংশ্লিষ্টদের জোরপূর্বক তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
ফেরত পাঠানোদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৯ জন বাংলাদেশের৷ এছাড়া পাকিস্তানের রয়েছেন ৩৭ জন৷ বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)।
এই কার্যক্রম কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত মাসের ২২ এপ্রিল অভিবাসন কেন্দ্রে আটক থাকা ২১ জন বিদেশি নাগরিককে একটি বিশেষ চার্টার বিমানে ফেরত পাঠানো হয়৷ তাদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, ছয় জন পাকিস্তানি এবং একজন তুরস্কের নাগরিক ছিলেন৷ তাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে৷ এর মধ্যে ১৯ জন বেআইনি উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন৷
যেসব অভিবাসীদের কাছে আটকের সময় কোনো পাসপোর্ট বা নথি পাওয়া যায়নি তাদের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মিশন বা কনস্যুলার অফিসের সহায়তায় বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
প্রথম প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৩ ইনফোমাইগ্রেন্টস
অভিবাসী বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস তিনটি প্রধান ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্লাটফর্ম৷ প্লাটফর্মটিতে রয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স মিডিয়া মোন্দ, এবং ইটালিয়ান সংবাদ সংস্থা আনসা৷ এই প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷