৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
৫ জানুয়ারি ২০২৩অভিযোগ অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে দুদককে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার স্বপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন৷
‘আত্মসাৎ ৫৮২ কোটি টাকার সার' শিরোনামে বৃহষ্পতিবার প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান৷
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স৷ এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা৷
মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান৷ কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন৷
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে৷
সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে'র মধ্যে৷ সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি৷ সবশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়৷
সার কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় বিসিআইসির চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন৷
এ কে এম আমিন উদ্দিন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার প্রথম আলোকে বলেন, ২০ জানুয়ারির মধ্যে বিসিআইসির চেয়ারম্যানকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে৷ এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে৷ প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের সত্যতা জানাতে বলা হয়েছে৷
এনএস/কেএম (প্রথম আলো)