৬৫-র বেশি হলেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট
৩ জুলাই ২০২০৬৫ বছরের বেশি বয়ষ্ক ভোটদাতাদের আর করোনার ঝুঁকি নিয়ে বুথে গিয়ে ইভিএমের বোতাম টিপে ভোট দিতে হবে না। তাঁরা বাড়িতে বসে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদিতে পারবেন। ফলে ভোটও দেওয়া যাবে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচান। সামনের বছর এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের ভোট। দুই রাজ্যে এ ভাবেই ভোট দিতে পারবেন বয়ষ্ক ভোটদাতারা।
একই রকমভাবে করোনায় আক্রান্তরাও বাড়িতে বসেই পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে ভোট দিতে পারবেন। তাঁরা অসুস্থ হলেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কোয়ারান্টিনে থাকা ভোটদাতারাও পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে ভোট দিতে পারবেন। বুথের আকারও কমানো হচ্ছে। একটি বুথে সর্বোচ্চ এক হাজার ভোটদাতার নাম থাকবে।
এতদিন ভোটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী, সরকারি কর্মী, সেনা জওয়ানরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারতেন। এ বার থেকে বয়ষ্করাও সেই সুযোগ পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশমতো এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। তবে এই সিদ্ধান্তে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি খুশি নয়। কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিবেক তনখা বলেছেন, ''এই সিদ্ধান্তে কারচুপি করার সুযোগ থাকছে। কারণ, কোন বাড়িতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটদাতা থাকেন, তা জানা কঠিন নয়। আর তাঁদের সংখ্যাটা কম নয়। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ তো হবেই।''
তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁরা চিঠি পাঠাতে পারে। সিপিএম আগে থেকেই পোস্টাল ব্যালটের বিরোধী। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁরও আশঙ্কা, এর ফলে কারচুপি হবে। কিন্তু কমিশন জবাবে জানিয়েছিল, আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারে।
করোনার সময় ভোটহলে, সেখানে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকিৎসকদের দাবি, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে করোনা মারাত্মক আকার নিতে পারে। ফলে ভোট দিতে গিয়ে তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাতে নিতে না হয়, সে জন্যই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভোট দেওয়ার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজারের ব্যবহারের মতো বিষয়গুলিও মাথায় রাখা হবে বলে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এএনআই, আবাপ)