‘কুকুক’ ঘড়ি
১ মার্চ ২০১৪জার্মান শিল্পী স্ট্রুম্বেলের কাজের বিষয় ‘হাইমাট', যার অর্থ জন্মভূমি৷ এর মাধ্যমে তিনি সবাইকে উৎসাহী করতে চান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা আমার কাজ দেখতে বা সেটা নিয়ে আলোচনা করতে আসেন, তাঁরা যেন, নিজ জন্মভূমির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন; যেন নিজ অঞ্চলকেই খুঁজে পান৷''
৩৪ বছরের এই শিল্পী মনে করেন, একেক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য একেক রকম৷ ‘‘অনেকের কাছে জন্মভূমি মানে হলো, যেখানে জন্ম হয়েছে৷ আমার অবশ্য অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়, মনে হয় এর সঙ্গে যেন মায়ের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে৷ এটা এমন এক অনুভূতি, যা আপনি সারা জীবনেও পাবেন না৷''
নিউ ইয়র্ক টাইমস জার্মান এই ঘড়ি প্রস্তুতকারকের অন্যরকম গুণের খবর পেয়ে ২০১০ সালে তাঁকে নিয়ে একটা বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘ওটা আমার জন্য ছিল এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা৷ যখন আমি সদ্য প্রিন্ট হয়ে আসা পত্রিকাটি হাতে নিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল, সবাই এখন আমার কাজের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে; এবং সে কারণেই এখন সবাই আমাকে চায়৷''
সম্ভবত প্রথম জার্মান হিসেবে স্ট্রুম্বেলের একটা কাজ ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘স্টাইল' ম্যাগাজিনে স্থান পেয়েছিল৷ পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করেন স্ট্রুম্বেল – যার মাধ্যমে তিনি ‘প্রতীকী' বিষয়ের অবসান চান৷
ডয়চে ভেলেকে নির্মিতব্য একটি ঘড়ি দেখিয়ে স্ট্রুম্বেল জানান, কাজ শেষ হলে এই ঘড়িটার দাম হবে ৯০ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকার সমান৷ স্ট্রুম্বেলের ছোট ঘড়িগুলোর দামই পাঁচ থেকে ১৫ হাজার ইউরো, অর্থাৎ প্রায় পাঁচ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা৷
কয়েক বছর আগে তাঁর আজকের এই অবস্থান অকল্পনীয় ছিল৷ কারণ নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে স্ট্রুম্বেল দেওয়ালচিত্র আঁকতেন৷ সেসময় অপরাধের কারণে কয়েকবার তাঁকে আদালতে যেতে হয়েছিল৷