অভিজিৎ হত্যা
৭ জুলাই ২০১৫হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর ‘আনসার বাংলা সেভেন' নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়েছিল৷
ইংরেজি দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন'-এ প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরে গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, শনাক্তকৃত সাতজনের মধ্যে দু'জনের ছবি দেখে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিজিতের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা৷ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বন্যাও মারাত্মক আহত হয়েছেন৷
তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘...ছবিসহ কিছু তথ্য এবং কাগজপত্র শনাক্ত করার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর মাধ্যমে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে৷''
এদিকে, প্রথম আলো পত্রিকা এ সংক্রান্ত তাদের প্রতিবেদনটি ফেসবুকে শেয়ার করলে সেখানে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ ফারিয়া আক্তার বৃষ্টি লিখেছেন, ‘‘এবার শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত৷'' জুবাইদুল হক জোবায়ের লিখেছেন, ‘‘সাবাশ বাংলাদেশ! আমরা নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী হতে পারবো৷''
তবে রাকিবুল হাসান শনাক্ত করা সাতজনের আসল পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কথা নাই, বার্তা নাই... হঠাৎ সাতজন কোথা থেকে পাইলো? সাতজন জর্জ মিয়া....জঙ্গি জঙ্গি এই নাটকে সাতজন নায়ক! ভালোই জমবে৷''
আরমান খান লিখেছেন, ‘‘এই সব ব্লগাররা ধর্ম নিয়ে কথা বললে সরকার কিছুই বলে না৷ আর যদি সরকারকে নিয়ে কিছু বলে তাহলে তখন রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে ধরে৷ আর কত অভিনয় যে দেখব৷''
এদিকে, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী, এ বছর ডয়চে ভেলের ‘দ্য বব্স' প্রতিযোগিতায় জুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত রাফিদা আহমেদ বন্যা৷ গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ