আইনজীবী ছাড়াই সৌদি নারীর বিচার শুরু
১৩ মার্চ ২০১৯লুজাইন আল-হাথলুল প্রথম খবরে উঠে আসেন ২০১৪ সালে৷ গাড়ি চালিয়ে সৌদি আরব থেকে আরব আামিরাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি৷ সেই সময় সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো বিষয়ে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা৷
এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হন তিনি৷ লুজাইন আল-হাথলুলসহ গ্রেপ্তার হওয়া আরো কয়েকজন নারী অধিকার কর্মী এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছিলেন বেশ অনেক দিন ধরেই৷
উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হন তাঁরা৷
যৌন হেনস্থা, অবিচারের শিকার
আল-হাথলুলের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মারধর করা হয়েছে৷ তাঁর সাথে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা৷
শুধু তাই নয়, হাথলুলের বিষয়টি আদালতে উঠেছে৷ বুধবার শুরু হয়েছে বিচারের কাজ৷
কিন্তু অভিযুক্তের অধিকারের যে নিয়ম, তা অমান্য করে আল-হাথলুল'কে কোনো আইনজীবী বরাদ্দ করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ৷ পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, সেটাও তাঁকে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে আল-হাথলুলের পরিবার৷
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার এক টুইটে এই অবিচারের বিরোধিতা করে আল-হাথলুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে৷
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক নতুন আইন প্রণয়ন করেন৷ নারীদের গাড়ি চালাতে পারার আইনটিও ছিল তার অন্যতম৷
কিন্তু সাংবাদিক খাশগজির হত্যাকাণ্ড ও একের পর এক অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেপ্তার হওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সালমান৷
এসএস/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)