‘আজাইরা’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অসাধারণ সমন্বয়হীনতা
৬ এপ্রিল ২০২০এই সময়ে করণীয় নির্ধারণে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, পদাধিকারবলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার চেয়ারম্যানও বটেন, কিন্তু এই কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো যে তিনি জানেন না এবং জানতে আগ্রহী, এই তথ্যটুকু জানাতে তাকে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের বৈঠককে বেছে নিতে হয়েছে! বিচিত্র বলতে হলেও বোধহয় পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হতে হয়!
এক নজর দেখে নেওয়া যাক সোমবার কী বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷ ওই বৈঠকে জনাব মালেক বলেন, করোনা নিয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত তাকে জানানো হচ্ছে না, যদিও পদাধিকার বলে তিনি সেই কমিটির চেয়ারম্যান৷ মানে, কমিটি যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যেমন, কারখানাগুলো কবে খোলা হবে বা খোলা হবে কিনা, মসজিদে নামাজ কিভাবে হবে এবং কখন রাস্তা খুলে দেওয়া হবে, তা তিনি জানতে পারেন না৷ স্বাস্থ্য বিষয় বাদে অন্য কোনো ধরনের বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয় না৷ তিনি যেহেতু কমিটির প্রধান তাই বিষয়টি তার জন্য বিরক্তিকর৷ নিরুপায় হয়ে তিনি সচিব সাহেবকে বলেছেন, তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না নিলেও অন্তত পরামর্শ যেন করে সে বিষয়ে আলোচনা করতে৷ অন্য অসুবিধার জন্য নয়, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়ার জন্য তার এ বিষয়টা জানা জরুরি৷
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রশ্ন, একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাজ কী? মহামারির ঝুঁকিতে গঠিত জাতীয় কমিটির সদস্যরা যে তার চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানানোরও প্রয়োজন মনে করছেন না, তার নিশ্চয়ই উপযুক্ত কারণ রয়েছে৷ মানে, এইসব সিদ্ধান্ত তাকে জানানো না জানানোতে কিছুই যায় আসে না৷ এরকম একজনকে চেয়ারে রাখার কারণ আমরা জানতে চাই৷
আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে না জানানোর মানে যদি হয় সমন্বয়হীনতা, তবে কি আমরা চিন্তা করতে পারছি যে, কী অসাধারণ সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি? ঘটনা যেরকমই হোক, আমরা এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ দাবি করি৷ আমরা মনে করি, অনুপযুক্ত কাউকে গুরুভার দেওয়ার নিরীক্ষা এই মুহূর্তে বন্ধ হওয়া দরকার৷