1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নতুন বছরে দল গোছাবে বিএনপি'

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

নতুন বছরকে দল গোছানোর কাজেই ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি৷ তাই জেলা পর্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবেও এ কাজ করবে তারা৷ ডিডাব্লিউ-কে সে কথাই বললেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷

https://p.dw.com/p/1HUQF
Mirza Fakhrul Islam Alamgir
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: DW/S. K. Dey

৫ই জানুয়ারিকে ঘিরে এখনও কোনো কৌশল নির্ধারণ না করলেও, আন্দোলনের কৌশল হিসেবেই আসন্ন পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি৷ বক্তব্য দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের৷ শুধু তাই নয়, আসন্ন নির্বাচন, দল পুনর্গঠন, আগামীর আন্দোলন কর্মসূচিসহ নানা বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি৷

ডিডাব্লিউ: এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা আপনার দৃষ্টিতে কেমন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে অবস্থা, সেটা গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী নয়৷ এই মুহূর্তে আমরা যাঁরা বিরোধী দল করছি বা ভিন্ন মত পোষন করছি, আমরা আমাদের কথা বলতে পারছি না৷ আমাদের সভা, সমিতি, সমাবেশ – এ সব করতে দেয়া হয় না৷ যদিও এখন একটি পৌরসভার নির্বাচন দেয়া হয়েছে, সারা দেশে সেটা দলীয় প্রতীকে করতে বলা হয়েছে৷ আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি৷ কিন্তু আমাদের প্রার্থীরা ও কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেয়া হয়েছে৷ সেই মামলাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত তাড়া করছে, গ্রেপ্তার করছে৷ গত তিন মাসে ৬ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আমাদের বিরোধী দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা এখনও জেলে রয়েছেন৷ আমাদের চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে সকলের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে৷ একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য একবারেই উপযোগী নয়৷

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি বা রাজনৈতিক অবস্থা যদি এতটাই খারাপ হয়, তাহলে এ মুহূর্তে পৌর নির্বাচনে গিয়ে কি ফল পক্ষে আনা সম্ভব?

আমাদের তো ফল পক্ষে আনার বিষয় নেই৷ অতীতে যে ক'টা নির্বাচন এই সরকারের অধিনে হয়েছে, তা থেকে তো আমরা দেখেছি যে এতে করে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে৷ কিন্তু আমরা যেহেতু একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, তাই আমরা মনে করেছি যে, এই মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই সবচাইতে উপযুক্ত কাজ৷ আর সে কারণেই আমরা নির্বাচনে গেছি৷

আচ্ছা আগামী বছরে বিএনপির রাজনৈতিক পরিকল্পনা কী?

আমরা আমাদের সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত করার জন্য কাউন্সিলের কাজ শুরু করেছি৷ জেলাগুলোতে কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা দল পুর্নগঠন করছি৷ কেন্দ্রতেও দল পুর্নগঠনের কাজ চলবে৷ আমরা জনগণের আরো কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি৷

আলোচিত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর আবারও ৫ই জানুয়ারি আসছে৷ বর্তমান সরকার দুই বছর পূর্ণ করছে৷ এক্ষেত্রে আপনাদের কোনো কর্মসূচি বা ভাবনা আছে কি?

এর ব্যাপারে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷

আপনাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই তো এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন? তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা বা ভাবনা আছে কি?

আমরা তো সব সময়ই কথাগুলো বলছি, কাজ করছি৷ আমরা সরকারের কাছে বলেছি যে, একটা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হোক৷ কিন্তু সরকার এতে কোনো সাড়া দিচ্ছে না৷ আজকে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি৷ তবে সেটাও আন্দোলনেরই অংশ হিসেবে৷

ঢাকার দু'টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমরা যেভাবে দেখেছি, পৌর নির্বাচনও যদি একইভাবে হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনাদের ভাবনার জায়গাটা কী?

সেটা আমরা দলীয় পর্যায়ে ও জোট পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব৷

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷

আপনাকেও ধন্যবাদ৷

প্রিয় পাঠক, বছর ঘুরে আবার আসছে ৫ জানুয়ারি৷ আপনার মধ্যে কি কোনো শঙ্কা কাজ করছে? মন্তব্য জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য