আন্নার সমর্থনে জনজোয়ার: সরকার নতজানু
১৭ আগস্ট ২০১১দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে আন্না ও তাঁর সমর্থকদের নিবর্তনমূলক আটক আইনে দিল্লি পুলিশ গতকাল গ্রেপ্তার করায়, এই আন্দোলন আরো তীব্র আকার নেয়৷ প্রতিবাদ বিক্ষোভের কেন্দ্রভূমি এখন দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়াম৷ হাজার হাজার ছাত্র, যুবাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে রাস্তায় নামে৷ আন্নার সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে সমবেত হয় স্টেডিয়ামে৷ সমবেত হয় দিল্লির তিহার জেলে যেখানে জেলবন্দি আন্না৷ মিছিল বের করে ইন্ডিয়া গেট থেকে৷ একই ছবি মুম্বই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ ও দেশের অন্যান্য শহরে৷
বিপুল জন সমর্থনে কিছুটা নার্ভাস হয়ে মনমোহন সিং-সরকার আন্না ও তাঁর সমর্থকদের মুক্তি দেবার সিদ্ধান্ত নেয়৷ কিন্তু বিনা শর্তে দিল্লির জে.পি পার্কে তাঁকে অনশনের অনুমতি না দিলে, তিনি মুক্তি প্রত্যাখান করবেন বলে জানান৷ জানা গেছে, বুধবার যে-কোনো সময়ে একটা আপোষ হলে আন্না জেল ছাড়তে পারেন৷
অন্যদিকে, সংসদে আন্নার গ্রেপ্তারি নিয়ে সংসদে তুমুল বাক-বিতন্ডা৷ এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ সংসদে গ্রেপ্তারের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় এছাড়া উপায় ছিলনা৷ দ্বিতীয়ত, লোকপাল বিলের খসড়া নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে৷ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও মত বিনিময় হয়৷ তারপর তা পেশ করা হয় সংসদে৷ এখন এই বিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে৷ আন্না দলের যদি কিছু বক্তব্য থাকে তাহলে তা কমিটিকে জানাতে পারেন৷ সেই অনুযায়ী, কিছু সংশোধন অসম্ভব নয়৷ কিন্তু আন্না দলের দাবি, তাঁদের তৈরি খসড়া বিল সংসদে পেশ করে পাশ করাতে হবে৷
প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির সমালোচনা করে বিজেপি ও অন্য বিরোধী দল একমত যে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুলিশ দিয়ে দমন করা যায়না৷
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সংসদে রাজনৈতিক দলগুলির উচিত লোকপাল বিলে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা এবং ন্যায্য সংশোধন আনা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ