আপাতত রেহাই
৭ মে ২০১২গত ২৯শে এপ্রিল বিরোধী দলের হরতাল চলাকালে সচিবালয়ে বোমা হামলা এবং রাজধানীতে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মোট দুটি মামলা হয়৷ মামলার পর পরই তারা আত্মগোপন করেন৷ সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের একাংশ জামিন নিতে হাইকোর্টে যান৷ আর কিছু নেতা গতরাতেই হাইকোর্টে অবস্থান নেন৷
হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে বেলা ২টার পর জামিন আবেদনের শুনানি হয়৷ শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী তাদের আগাম জামিন দিয়ে স্থায়ী জামিনের জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেন৷ কিন্তু আরেকজন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার জামিন না দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেশ৷ আদালত জানান, এই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবেনা৷ আদালতের এই বিভক্ত রায়ের কারণে এখন তৃতীয় বেঞ্চে জামিনের শুনানি হবে৷ কাল প্রধান বিচারপতি সেই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিতে পারেন বলে জানান বিএনপিসহ ১৮ দলের নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ৷
এদিকে আদালতে নেতাদের জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এম কে রহমান৷ তিনি বলেন, তাদের নিম্ন আদালতেই জামিনের জন্য যাওয়া উচিত৷ তবে আদালতের নির্দেশের ফলে তাদের আগামী ৭ দিন পুলিশ গ্রেফতার বা হয়রানি করতে পাবেনা বলে জানান তিনি৷
এদিকে গত রাত থেকেই হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়৷ কিন্তু তারমধ্যেই ১৮ দলের নেতাদের কেউ কেউ রাতেই ছদ্মবেশে হাইকোর্টে গিয়ে অবস্থান নেন৷ সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা হাইকোর্টে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়৷ কিন্তু আগেই আদালত তাদের নির্বিঘ্নে হাইকোর্টে ঢুকতে দেয়ার নির্দেশ দেন৷ আইনজীবীরা হাইকোর্টের গেটে পুলিশকে আদালতের এই আদেশের কথা জানানোর পর পুলিশ রণে ভঙ্গ দেয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন