আমস্টারডামের এক চিলেকোঠার কথা
২ মার্চ ২০১৭তাঁরা হলেন অলিভার মিচেল আর জর্জ গটেল৷ আমস্টারডামের কেন্দ্রে অবস্থিত জোরদান এলাকায় ব্ল্যোমগ্রাখট রাস্তার ধারে বসবাস তাঁদের৷ পুরনো আসবাবপত্র আর আধুনিক ডিজাইনের মিশেল ঘটিয়ে তাঁরা ঘরগুলো সাজিয়েছেন৷
জর্জ গটেল বলেন, ‘‘জায়গাটি বেছে নেয়ার কারণ এটি অনেক বড় জায়গা৷ এছাড়া অনেকদিন এখানে কেউ থাকেননি৷ বাড়িটি তৈরি হয়েছে ১৭৬৩ সালে৷ এখানে কোনো দেয়ালও ছিল না৷ তাই আমস্টারডামে চিলেকোঠায় থাকার পরিকল্পনাটি আমাদের ভালো লেগেছে৷ এরকম তো সাধারণত কেউ করে না৷
২০০৭ সালে সংস্কারের সময় বাড়িটির আসল রূপ যতটা সম্ভব ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷
মার্কিন নাগরিক জর্জ গটেল আর ফ্রান্সের নাগরিক অলিভার মিচেল পেশাগত জীবনে হোটেল আর কর্পোরেট অফিসের নকশা করেন৷ তবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁরা একটু অন্যরকম থাকতে পছন্দ করেন৷
জর্জ গটেল বলেন, ‘‘আমরা ভবনটির যে অংশে আছি সেটি আসলে ছিল একটি গুদাম৷ তাই পুরো জায়গাটি ছিল ফাঁকা, মাঝে কোনো দেয়াল ছিল না৷ আমরাও চেয়েছি কোনো দেয়াল না রাখতে৷ তাই পর্দা দিয়ে বেডরুম আর গেস্টরুমগুলো আলাদা করেছি৷’’
এই বাড়ির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, টেরাস থেকে ওয়েস্টারটোরেন গির্জা দেখতে পাওয়া যায়৷ তাছাড়া আনা ফ্রাংক হাউসও খুব কাছে৷
ঘর সাজানো প্রসঙ্গে অলিভার মিচেল বলেন, ‘‘আমাদের এখানে যে জিনিসগুলো আছে সেগুলো দেখতে সুন্দর আর কুৎসিতের মাঝামাঝি কিছু একটা৷ আমরা সেরকমই পছন্দ করি৷ তাই আমি বলবো বাড়িটা একটু অন্যরকম, কারণ এখানে সুন্দর-অসন্দুর অনেক কিছু আছে৷’’
গ্যোনা কেটেলস/জেডএইচ