আনা ফ্রাঙ্ক
২১ জুন ২০১২সেই ১৯৬০ সাল থেকে আনা ফ্রাঙ্ক মিউজিয়াম এক ইহুদি কিশোরির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হলোকস্টের ইতিহাস তুলে ধরছে, যিনি কিনা নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচতে দীর্ঘদিন লুকিয়ে ছিলেন এবং এক পর্যায়ে ধরা পড়েন ও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মৃত্যুবরণ করেন৷ এবার মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশ করা হয়েছে৷ এটা ব্যবহার করে আনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যাবে আমস্টারডাম শহর৷
মিউজিয়ামটির ডিজিটাল মিডিয়া ম্যানেজার ইটা আমোহরসিজা জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে আমস্টারডাম শহরে বসবাসরতদের কাছে আনা ফ্রাঙ্কের গল্প আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলতে এই অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছি সাধারণ মানুষের সামনে অতীত এবং বর্তমানের একটি সম্পর্ক উপস্থাপন করতে৷ যাতে করে তারা যখন সেন্ট্রাল স্টেশনে বা নিজের বাড়ির কাছে দাঁড়াবেন, তখন অতীত এবং বর্তমানের সংমিশ্রনে নিজের চারপাশটা দেখতে পাবেন৷ এরফলে তাদের উপলব্ধি হবে, সত্যিই সেটা ঘটেছিল৷''
আনা ফ্রাঙ্ক হচ্ছেন হলোকস্টে নিহত অসংখ্য মানুষের একজন৷ নেদারল্যান্ডসে নাৎসি দখলদারিত্বের সময় আমস্টারডামে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ লুকানো সেই সময়ে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে লিখে রাখেন আনা৷ হলোকস্টের পর তাঁর সেই ডায়েরি এবং তাঁর বাবাই শুধু বেঁচে ছিলেন৷
আনা ফ্রাঙ্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ত্রিশটি স্থান যোগ করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে৷ এসবের মধ্যে রয়েছে, আনা যেখানে ছিলেন এবং যে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, অ্যানেক্স - যেখানে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা লুকিয়ে ছিলেন, এবং যে বইয়ের দোকান থেকে আনার বাবা তাঁর জন্য বিখ্যাত ডায়েরিটি কিনেছিলেন৷ জিপিএস নেভিগেশনের মাধ্যমে এসব জায়গা ঘুরে দেখা যাবে৷
উল্লেখ্য, আনার আমস্টারডাম অ্যাপ্লিকেশনটি এখন ইংরেজি, ডাচ এবং জার্মান ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে৷ আনা ফ্রাঙ্ক মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, শীঘ্রই আরো কয়েকটি ভাষায় প্রকাশ করতে হবে অ্যাপ্লিকেশনটি৷ গতমাসে প্রকাশ হওয়ার পর এটি ভালো সাড়া জাগিয়েছে৷ প্রথম সপ্তাহেই ডাউনলোড হয়েছে ১২,০০০ কপি৷
প্রতিবেদন: কার্লোটা লোমাস / এআই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক