1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরব

৬ আগস্ট ২০১২

আরব বিশ্বে গত দেড় বছরের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের তেমন কোন প্রভাব এখন পর্যন্ত পড়ছে না সৌদি আরবে৷ তা সত্ত্বেও দেশটি আঞ্চলিক রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি ধর্মীয় ক্ষেত্রেও প্রভাব বজায় রেখে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/15kJ0
A demonstrator carries an Egyptian flag near Tahrir square where demonstrators are gathering to mark the first anniversary of Egypt's uprising, January 25, 2012. Tens of thousands massed in Cairo's Tahrir Square and other Egyptian cities on Wednesday, a year after an uprising erupted that toppled Hosni Mubarak, spurred on revolts across the region and exposed rifts in the Arab world's most populous state. REUTERS/Asmaa Waguih (EGYPT - Tags: POLITICS CIVIL UNREST) // Eingestellt von wa
ছবি: Reuters

আরব বিশ্বে গত দেড় বছরের বেশি সময় আগে যে বসন্তের শুরু হয়েছে তার জের এখনও চলছে৷ তিউনিশিয়া এবং মিশরে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, এসেছে গণতান্ত্রিক সরকার৷ লিবিয়াতে কর্নেল গাদ্দাফির পতনের পর সেখানে নির্বাচন হয়েছে৷ সিরিয়াতে এখনও চলছে গৃহযুদ্ধ যার শুরুটা হয়েছিলো আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের উত্তাল বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও এই আরব পুনর্জাগরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ তবে সৌদি আরব যেন একেবারেই ব্যতিক্রম৷

স্বৈরশাসনে সমর্থন

সৌদি আরবের অর্থনীতির মূল ভিত্তি তাদের খনিজ তেল৷ প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের তেল রপ্তানি করে দেশটি শুধু নিজের অর্থনীতিকেই সমৃদ্ধ করেনি, বিভিন্ন দেশে তাদের প্রভাবও বিস্তার করেছে৷ এই প্রভাব ধর্মীয়, অর্থনীতি এমনকি রাজনীতিতেও৷ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সামরিক বাহিনীকে আর্থিক সহায়তা দেয় সৌদি সরকার৷ যদিও সেসব দেশে রয়েছে স্বৈরশাসক৷ মিশরে হোসনি মুবারকের সময় সামরিক বাহিনীর অন্যতম বন্ধু ছিলো এই সৌদি রাজপরিবার৷ এই সম্পর্কে জার্মানির রাজনীতি বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের গবেষক গিডো স্টাইনবের্গ বলেন, ‘‘সৌদি আরব আর্থিক সহায়তা বা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের প্রভাব বিস্তার করে থাকে৷ এই ক্ষেত্রে মিশর খুব ভালো উদাহরণ৷ দেশটিতে বিশেষ করে সামরিক বাহিনীকে সৌদি আরব সাহায্য দিয়ে আসছে৷ আর এর মাধ্যমে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির একটি বিশেষ দিক স্পষ্ট হয়, তা হলো সেই অঞ্চলে যে শাসন পদ্ধতি চলে আসছে, সেই স্বৈরশাসনকে রক্ষা করা৷''

Saudi King Abdullah bin Abd al-Aziz, left, directs Egyptian President Hosni Mubarak, second right, Iraqi President Jalal Talabani, right, and Amr Moussa, Secretary General of the Arab League, second left, during a group picture of Arab leaders before their summit in Riyadh, Saudi Arabia, Wednesday, March 28, 2007 which is expected to focus on how to revive Middle East peace efforts. (AP Photo/Amr Nabil)
স্বৈরশাসকদের সঙ্গে সৌদি রাজার সখ্যতা সবসময় ছিলোছবি: AP

আরব দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই সৌদি সরকারের এই মনোভাব লক্ষ্য করা যায়৷ একদিকে তারা তিউনিশিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বেন আলি, ইয়েমেনের পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে৷ অন্যদিকে বাহরাইনে মানুষের বিক্ষোভ দমনে সেদেশে সেনা পর্যন্ত পাঠিয়েছে৷ এমনকি নিজ দেশে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রতিও কঠোর মনোভাব দেখিয়ে যাচ্ছে দেশটির রাজপরিবার৷

ধর্মীয় ঢাল

কেবল রাজনীতি নয়, ধর্মীয় ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের প্রভাব দেখা যায়৷ ইসলাম ধর্মের অন্যতম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলিম দেশটির দুই পবিত্র শহর মক্কা এবং মদিনাতে যায়৷ দেশটির রাজপরিবার নিজেদের এই দুই পবিত্র শহরের রক্ষক বলেও দাবি করে৷ এই ধর্মীয় ঢালকে তারা নিজেদের ক্ষমতা রক্ষার স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে৷ পাশাপাশি উগ্র ধর্মীয় মতবাদ প্রচারেও তারা এই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে৷ তবে আরব বসন্ত তাদের মনে ভয় এনে দিয়েছে বলে মনে করেন জার্মান গবেষক গিডো স্টাইনবের্গ৷ তার ভাষায়, ‘‘এই অঞ্চলের আরও অনেকের মত সৌদি সরকারও স্বৈরশাসক৷ এই সকল শাসন ব্যবস্থার উদ্দেশ্য একটিই তা হলো তাদের ক্ষমতা রক্ষা করা৷ তবে তাদের মধ্যেও বলতে হবে এই ক্ষমতা হারানোর ভয় ঢুকে গেছে৷''

পশ্চিমা গবেষকদের মতে, সৌদি আরবের এই প্রভাব সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও একটি ভূমিকা রাখছে৷ তাদের ইরান বিরোধী অবস্থানের কারণে তারা সিরিয়ার আসাদ বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়া পরিণত হয়েছে সুন্নি সৌদি আরব আর শিয়া ইরানের যুদ্ধক্ষেত্রে৷

প্রতিবেদন: আনে আলমেলিং/আরআই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য