‘ইউক্রেন যুদ্ধ বুদ্ধিমানদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে ভাবাবে'
১৮ মার্চ ২০২২শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন কথা বলেছেন আইপিসিসিরওয়ার্কিং গ্রুপ ৩-এর কো-চেয়ারম্যান জিম এসকিয়া৷ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেয়া পদক্ষেপগুলো বিভিন্ন দেশের উদ্যোগগুলোতে কী প্রভাব ফেলবে, ডয়চে ভেলের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা জাতিসংঘের এমন একটা সংস্থা, যারা বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে৷ তাই জ্বালানির বাজার ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সরাসরি কথা বলি না৷''
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে পরিষ্কারভাবে বুদ্ধিমান লোকেরা জেনে গেছে যে, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷'' উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তেল ও গ্যাস আমদানি করে থাকে৷ যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে এই জ্বালানি বাণিজ্য সংকটের মুখে পড়েছে৷
এসকিয়া আরো বলেন, আগামী ৪ এপ্রিল আইপিসিসি যে রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে, সেখানে ও তার সম্পূরক প্রকাশনাগুলোতে এবং যে ডেটাবেজগুলো প্রকাশিত হবে, সেখানে জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার যথেষ্ট উপাত্ত থাকবে৷
শুক্রবার জার্মান সময় সকাল সাড়ে নয়টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আইপিসিসি তাদের ষষ্ঠ মূল্যায়নের ওয়ার্কিং গ্রুপ-৩-এর প্রতিবেদন প্রকাশের প্রাক সংবাদ সম্মেলন করে৷ ওয়ার্কিং গ্রুপ-৩ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের মিটিগেশন বা প্রশমন নিয়ে কাজ করে৷
গুরুত্ব পাবে সামাজিক প্রভাব
আইপিসিসির এই রিপোর্টে নতুনত্ব হচ্ছে প্রশমন প্রক্রিয়ায় সামাজিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা৷ এ নিয়ে আলাদা একটি চ্যাপটার থাকবে৷ সেই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় গবেষক জয়শ্রী রায়৷ তিনি থাইল্যান্ড ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্সের প্রথম বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর৷ তিনি বলেন, ‘‘চাহিদার সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে প্রতিবেদনে৷ বিশেষ করে কোন কারণে দেশগুলো কার্বন নিঃসরন করে এমন উদ্যোগে বিনিয়োগ করে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে৷''
এছাড়া প্রতিবেদনে প্রশমন ও উন্নয়ন এবং প্রশমন ও অভিযোজনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা থাকবে৷ থাকবে প্রশমনে বিনিয়োগের চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ৷
‘‘কোথায় কতটুকু বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং কত বিনিয়োগ এরই মধ্যে আছে, এই ফারাক তুলে ধরা হবে,'' বলেন এসকিয়া৷