1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবলে এক স্মরণীয় সন্ধ্যা

২০ নভেম্বর ২০১৩

ওয়েম্বলের ফ্রেন্ডলি-তে জার্মানির ‘তরুণ তুর্কিরা’ জিতেছে তাদের ‘বি’-টিম অপবাদ সত্ত্বেও৷ দু’টি রুদ্ধশ্বাস বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের একটিতে ছিল রোনাল্ডো-ইব্রাহিমোভিচ ‘হাই নুন’, অন্যটিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ফরাসি বিপ্লব৷

https://p.dw.com/p/1ALHG
England's goalkeeper Joe Hart (2L) fails to save a goal scored by Germany's Per Mertesacker (R) during their international friendly soccer match at Wembley Stadium in London November 19, 2013. REUTERS/Dylan Martinez (BRITAIN - Tags: SPORT SOCCER TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার, ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম অথবা মেসুত ওয়েজিলের মতো ‘প্লে মেকার'-কে সঙ্গেই নেননি জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ দলে গোটা আষ্টেক পরিবর্তন করেছিলেন৷ খেলা চলাকালীন ছ'বার বিকল্প খেলোয়াড় নামান, খেলাটা ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে৷

ব্রিটিশ মিডিয়ায় জার্মান ‘বি'-টিম নামানো নিয়েই যখন কথা উঠেছে, তখন ল্যোভের সেই ‘বি'-টিম প্রমাণ করে দিল, জার্মান জাতীয় ফুটবলের প্রস্তুতির ‘গভীরতা' কতটা৷ বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার মাঠে নেই তো কি হয়েছে? বায়ার্নের টোনি ক্রোস তো আছে৷ সেই সঙ্গে যদি আবার ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস থাকে...

একক প্লেয়ারদের নাম করে লাভ নেই: গোটা জার্মান দলটা – সেই সঙ্গে ল্যোভ যাদেরই বিকল্প হিসেবে নামিয়েছেন – সকলেই একবার পা মিলিয়ে নেওয়ার পর যেন জয় অভিমুখে কুচকাওয়াজ করেছে৷ অথবা, অন্যভাবে বলতে গেলে, যে যার নিজের ভূমিকা খুঁজে ও বেছে নিয়েছে৷ এক্ষেত্রে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের অপ্রত্যাশিত এবং অনবদ্য ডিফেন্ডিং-এর কথা মনে করা যেতে পারে৷

যে ওয়েম্বলেতে জার্মান দল ১৯৭৫ সাল যাবৎ হারেনি, সেখানে মঙ্গলবারের স্মরণীয় সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন ছিলেন পের মের্টেসাকার: জয়ের গোলটাও তিনিই করেন, কর্নার থেকে বল আসার পর হেড করে৷ মের্টেসাকার বিপক্ষের ক্রিস স্মলিং-কে ছাড়িয়ে আকাশে ওঠেন; এ সম্পর্কে পরে তাঁর উক্তি: ‘‘আমি যে গোলের সামনে এতটা খালি থাকব, ভাবতে পারিনি৷''

Porträtfotos der Nationalspieler im neuen Trikot, geliefert von DFB.
পের মের্টেসাকারছবি: DFB

অবশ্য সেটাই ছিল এই নতুন-পুরনো মিলিয়ে কিছুটা দিশাহারা ইংলিশ টিমের দুর্বলতা৷ অফেন্সে রুনি-জেরার্ড-কোল কিছু করে উঠতে পারেননি; ওদিকে নতুন প্রজন্মের স্টারিজ-ওয়াকার-লালানা-রাও এখনো তাদের ‘রিদম' খুঁজে পায়নি৷ তবে জার্মান দলের মতোই এই ইংলিশ দলও বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করেছে৷ কাজেই ব্রাজিলে ঠিক এ রকম ওয়াকওভার পাওয়া যাবে মনে করলে ভুল হবে৷

হাই নুন

স্টকহল্মের তথাকথিত ‘স্লাটান' অ্যারেনায় পর্তুগাল-সুইডেন সংঘাত৷ যে কোনো মহাকাব্যের সংঘাতের মতোই সম্মুখসমরটা ছিল সুইডেনের ৩২ বছর বয়সি স্ট্রাইকার-কিংবদন্তি স্লাটান ইব্রাহিমোভিচ – এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মধ্যে৷ মহাকাব্যের বদলে হলিউডের কোনো ওয়েস্টার্ন ছবির উদাহরণ নিলে বলা যেতে পারে, এ ছিল যেন ফুটবলের দুই টপ গানের মধ্যে ডুয়েল৷

Paris Saint-Germain's Zlatan Ibrahimovic and David Beckham celebrate at the end of their team's French Ligue 1 soccer match against Olympique Lyon at the Gerland stadium in Lyon May 12, 2013. Paris Saint-Germain secured the French Ligue 1 soccer Championships title after beating Olympique Lyon 0-1 on Sunday in Lyon. REUTERS/Robert Pratta (FRANCE - Tags: SPORT SOCCER TPX IMAGES OF THE DAY)
স্লাটান ইব্রাহিমোভিচছবি: Reuters/Robert Pratta

খেলার পাঁচটি গোলের মধ্যে ইব্রাহিমোভিচ করেন দু'টি, রোনাল্ডো তার আগে একটি এবং পরে দু'টি৷ পর্তুগাল বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করে ৩-২ গোলে, অথবা ফার্স্ট লেগ ধরলে অ্যাগ্রেগেটে ৪-২ গোলে৷ পর্তুগালের চারটি গোলই রোনাল্ডোর: ফার্স্ট লেগে হেড করে, ৮২ মিনিটের মাথায়; সেকেন্ড লেগে তিনবার তিনটি চমৎকার পাসে গোল অভিমুখে দৌড় দিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে৷

গোল করার আগে ও পরে রোনাল্ডোর ভাবভঙ্গি অনেকটা পাড়ার মাস্তানদের মতো হলেও, মঙ্গলবারের খেলার পর তিনি কিন্তু গর্ব না করেই বলতে পেরেছেন: ‘‘আমি জানতুম, এই ম্যাচগুলোয় পর্তুগালের আমাকে প্রয়োজন৷ আমি দেখিয়েছি যে, আমি হাজির আছি৷'' খোদ ইব্রাহিমোভিচ বলেছেন: ‘‘ও পাল্টা-আক্রমণের তিনটি সুযোগ পেলে তিনটি গোল করে৷ এটা ও-ই সবচেয়ে ভালো পারে৷'' আর রোনাল্ডোকে দু'টি অসাধারণ পাস যিনি দিয়েছেন, সেই জোয়াও মুটিনিও বলেছেন: ‘‘আর বলার কি আছে? ও (রোনাল্ডো) হলো বিশ্বের সেরা (খেলোয়াড়)৷''

MADRID, SPAIN - SEPTEMBER 01: Cristiano Ronaldo of Real Madrid reacts during the La Liga match between Real Madrid CF and Athletic Club Bilbao at estadio Santiago Bernabeu on September 1, 2013 in Madrid, Spain. (Photo by Denis Doyle/Getty Images)
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোছবি: Getty Images

ফরাসি বিপ্লব

শেষমেষ ফরাসি দলকে অভিনন্দন না জানিয়ে থাকা যাচ্ছে না৷ ফ্রংক রিবেরি ধন্য এই দলটি কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের কাছে ২-০ গোলে হেরে আসার পর যে রিটার্ন লেগে ৩-০ গোলে জিতে ব্রাজিল যাবার টিকিট করে নিতে পারবে, তা কে ভাবতে পেরেছিল? কিন্তু কোচ দিদিয়ের দেশঁ দলে কিছু বড় রকমের রদবদল করেন: মামাদু সাখো আর রাফায়েল ভারানেকে সেন্টার ব্যাক হিসেবে আনেন; মাঝমাঠে রাখেন ইওহান কাবাইয়েকে; যোগ করেন উইঙ্গার মাথিউ ভালবুয়েনা এবং স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাকে৷

তা-তেই কাজ হয়ে যায়: বিশেষ করে সাখো একটি গোল করেন এবং খেলার দ্বিতীয় গোলটি ইউক্রেনের তরফে আত্মঘাতী গোল হলেও, বস্তুত সাখোই সেজন্য দায়ি ছিলেন৷ তৃতীয় গোলটি করেন বেনজেমা৷ ফলে একটানা বিশ বছর অংশগ্রহণের পর ফ্রান্সের বিশ্বকাপ থেকে হঠাৎ বাদ পড়ার ফাঁড়া কাটে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য