ইউরোপে দুর্দশার মুখে শরণার্থীরা
২০ আগস্ট ২০১৫এক রাষ্ট্রজোট, কিন্তু ভিন্ন নীতি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি বৃহত্তর স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে একক ও অভিন্ন নীতি অনুযায়ী কাজ করলেও কিছু বিষয়ে গরমিল চোখে পড়ার মতো৷ এই মুহূর্তে শরণার্থী সংক্রান্ত বিতর্কে এই বৈষম্য বিশেষভাবে চোখে পড়ছে৷ ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও জার্মানি সবচেয়ে বেশি শরণার্থী গ্রহণ করছে৷ অন্যদিকে ব্রিটেন তার ভগ্নাংশকে দূরে রাখতে জোরালো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ফিল লি এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ব্রিটেন ৩,০০০ শরণার্থীকে থামাতে সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে৷ অন্যদিকে জার্মানি চলতি বছরে ৮ লক্ষ শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণ করতে চাইছে৷
শরণার্থীদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের কড়া অবস্থানের প্রেক্ষাপটে আত্মসমালোচনার সুরে টুইট করেছেন স্টিভ৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমাদের, মানে ব্রিটিশদের মধ্যে কতজন অভিবাসীদের উত্তরসূরি? এখন তোমরা কী ভাবে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারো?''
জন আর ডেনি শরণার্থী সংকট সামলাতে জার্মানির পরিকল্পনা সম্পর্কে লেখা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
ইইউ-র মধ্যে হাতে গোনা যে সব দেশ আদৌ শরণার্থী গ্রহণ করতে প্রস্তুত, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থানও বিতর্কের সৃষ্টি করছে৷ যেমন স্লোভাকিয়া সহ পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ শরণার্থীদের ক্ষেত্রে খোলাখুলি বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করছে৷ আজহার তাঁর টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, স্লোভাকিয়া ২০০ সিরীয় শরণার্থী গ্রহণ করতে প্রস্তুত, তবে তাদের সবাইকে খ্রিষ্টান হতে হবে৷
সাবিকা শাহ পোভিয়া একই খবর শেয়ার করে স্লোভাকিয়ার সরকারকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, সে দেশের সরকার বৈষম্যের অভিযোগ মানতে প্রস্তুত নয়৷
ইউরোপে শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে দক্ষিণপন্থি ও ‘পপুলিস্ট' শিবির বিষয়টি বিকৃত করে অনেক ভুল তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে৷ মেলিসা ফ্লেমিং এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে এমন ভয়াবহ চিত্র ভেঙে দেবার চেষ্টা করেছেন৷
তর্ক-বিতর্ক, তথ্য-পরিসংখ্যানের আড়ালে শরণার্থীদের করুণ দশা উঠে আসছে অনেক ছবিতে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস সপরিবারে সিরিয়ার লাইথ মজিদের পরিবারের একটি মুহূর্ত তুলে ধরেছে৷ টুইটারে ছবিটি শেয়ার করেছেন অসংখ্য মানুষ৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ