ইরাকে কুর্দিদের উপর আবার ইরানের হামলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরান-জুড়ে এখন বিক্ষোভ হচ্ছে। তার মধ্যেই ইরাকে গিয়ে ইরান-বিরোধী বিক্ষুব্ধ কুর্দিদের বিরুদ্ধে আঘাত হানলো তেহরান। ২২ বছর বয়সি আমিনিকে ইরানের নীতি পুলিশ হিজাব না পরার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর তার মৃত্যু হয়।
বুধবার ইরাকি কুর্দিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী সার্ভিস জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ১৩ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ৫৮ জন আহত হয়েছেন।
ইরানের হামলা সম্পর্কে যা জানা গেছে
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড 'সুইসাইড ড্রোন' এবং 'প্রিসিশন মিসাইল' ব্যবহার করেছে বলে সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে। উত্তর ইরাকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে তারা হামলা চালায় বলে তারা দাবি করেছে।
বিরোধী কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইরান(কেডিপিআই) এই হামলার নিন্দা করেছে। তারা বলেছে, এই আক্রমণ কাপুরুষোচিত। যখন ইরানের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সরকার থামাতে পারছে না, কুর্দিদের মুখ বন্ধ করতে পারছে না, তখন তারা এই সন্ত্রাসের রাস্তায় হেঁটেছে।
কেডিপিআই জানিয়েছে, ইরবিল থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের কোয়া-কে টার্গেট করেছিল ইরান।
ইরাক সরকার এবং আঞ্চলিক কুর্দিদের সরকার ইরানের এই হামলার নিন্দা করেছে। ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাগদাদে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে অত্যন্ত কড়া চিঠি দেয়া হচ্ছে। স্বশাসিত কুর্দিদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ তারা মেনে নেবেন না।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বার্লিন, ওয়াশিংটন, লন্ডন এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরান তাদের দেশে বিক্ষোভের কারণ, অন্যদেশে খুঁজতে চাইছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর আঘাত। যুক্তরাজ্য় মনে করে, ইরান ওই অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)