1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের পরমাণু আলোচনা

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু আলোচনা দ্বিতীয় দফায় পৌঁছেছে৷ আশা করা হচ্ছে, এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার ৩৫ বছরের বৈরিভাবের অবসান হবে৷

https://p.dw.com/p/1BAnF
ছবি: picture-alliance/AP

তবে কেউই এই আলোচনা নিয়ে বেশি আশাবাদী নন৷ তারপরও ভিয়েনায় শুরু হওয়া এই আলোচনায় কিছু একটা ফল বেরিয়ে আসবে – এমটাই মনে করা হচ্ছে৷ ইরানের সাথে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি৷

আলোচনা শুরুর একদিন আগেই অবশ্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, এই আলোচনার ফল নিয়ে তিনি খুব একটা আশা করছেন না৷ কেননা তাঁর মনে হয় আলোচনাটা অসমাপ্তই থেকে যাবে৷ তবে খামেনি এও বলেছেন, আলোচনার বিপক্ষে নন তিনি৷

এদিকে মার্কিন এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এটা এমন হতে পারে যে ঠিক আমরা যেটা চাচ্ছি হুবহু তেমন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না৷ তবে জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এমন কূটনৈতিক আলোচনা সবচেয়ে ভালো পন্থা, যার কোনো বিকল্প হতে পারে না৷''

গত ২৪শে নভেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানি ইরানের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরমাণু চুক্তি করে৷ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত শর্ত অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কিছু উদ্যোগ সীমিত করার ব্যাপারে সবাই একমত হয়৷ যেমন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা কমিয়ে আনবে, যা পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না৷ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদও কমাবে৷ অর্থাৎ প্রথমবারের মতো পশ্চিমা শক্তি ইরানকে স্বল্প মাত্রায় উইরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেয়৷ চুক্তি কার্যকর করার বিনিময়ে ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে শিথিল করার কথা৷ যেমন সোনা, মূল্যবান ধাতু, মোটরগাড়ি ও পেট্রোকেমিকেল রপ্তানির ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হবে৷ ২০ জুলাই পর্যন্ত নতুন নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হবে না৷ শর্ত অনুযায়ী, ২০শে জানুয়ারি থেকে ইরান পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করেছে৷

এপিবি/এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য