1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের বিষয়ে অ্যামেরিকাকে সতর্ক করল ইউরোপ

১৪ মে ২০১৯

ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা এড়িয়ে সংযমের ডাক দিয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের কাছে ইরানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছেন৷ পারস্য উপসাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3ISIr
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Schmitz

ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উদ্দেশ্যে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁদের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামান্য কারণেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে৷ বিশেষ করে রবিবার সৌদি আরব পারস্য উপসাগরে সে দেশের দুটি পেট্রোলিয়ামবাহী ট্যাংকারে ‘অন্তর্ঘাত'-এর অভিযোগ করায় এমন সম্ভাবনা আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তাই পরিস্থিতি শান্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে তারা মনে করে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান একযোগে দুই দেশের উদ্দেশ্যে এই বার্তা পাঠিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, এই তিন দেশ ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির অংশীদার৷ ইইউ সেই চুক্তি কার্যকর করার প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করে এসেছে৷ ওয়াশিংটন একতরফাভাবে এই চুক্তি ত্যাগ করলেও ইউরোপ তা আঁকড়ে ধরে রয়েছে৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরেন৷ ইরানের কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনি গোপন তথ্যও দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের ইরান সংক্রান্ত দূত ব্রায়ান হুক৷ তাঁর মতে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল তথা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার বিষয়ে ইউরোপও অ্যামেরিকার মতো উদ্বিগ্ন৷ হুক বলেন, হুমকির বদলে ইরানের সংলাপের পথে আসা উচিত৷

ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, ইরানের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে ইউরোপের অবস্থান জানানো হয়েছে৷ তাঁর মতে, এই মুহূর্তে যতটা সম্ভব সংযম দেখানো এবং সামরিক তৎপরতা এড়িয়ে চলা উচিত৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এ প্রসঙ্গে পম্পেও-র কাছে পরমাণু চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন৷ তাঁর মতে, এর থেকে ভালো কোনো চুক্তির প্রস্তাব দেখা যাচ্ছে না৷ সে কারণে হাতে যে চুক্তি রয়েছে, সেটাই ধরে রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ তার ভিত্তিতে পরিস্থিতির অবনতি এড়ানোর চেষ্টা চালাতে হবে, বলেন মাস৷

এদিকে সৌদি আরবের জ্বালানী মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ সোমবার বলেছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলা'-র ফলে সে দেশের দুটি পেট্রোলিয়ামবাহী জাহাজের বড় ক্ষতি হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ফুজেইরাহ উপকূলে মোট ৪টি জাহাজের উপর হামলার বিষয়ে জানিয়েছিল আমিরাত৷ এই ঘটনার পেছনে ইরানের হাত আছে কিনা, সে বিষয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান কিছু করলে সে দেশকে তার ফল ভোগ করতে হবে৷ ইরান এই হামলার তীব্র নিন্দা করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সে অঞ্চলের দেশগুলির উদ্দেশ্যে বিদেশি শক্তির বেপরোয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

এসবি/এসিবি (এপি, ডিপিএ)