ইরানে নারী শিক্ষা
৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ফলে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫টি কোর্সে নারী শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না৷ এই কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে হিসাববিদ্যা, প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়৷
এমন সিদ্ধান্তের কারণ - বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬০ শতাংশই ছাত্রী বলে জানা গেছে৷
এই ধরণের সিদ্ধান্ত কে নিলো সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়৷ কেননা গত বছর যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক চলছিল তখন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ এর বিরোধিতা করেছিলেন৷ তিনি এই পদক্ষেপকে ‘অবৈজ্ঞানিক' বলে মন্তব্য করেছিলেন৷
ইরানের সংসদও নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত দেয়নি৷ কেননা তারা কদিন আগেই উপ-বিজ্ঞানমন্ত্রীর কাছে এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিল৷
তাহলে এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত কে নিলো? শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এটা ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত৷
২২ বছরের ছাত্রী তারানা বলছে, তার কয়েক সহপাঠিনী এবার কিছু কিছু বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেনি৷
এদিক, ইরানের নারীরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, তাঁরা মেয়েদের সমালোচনার বিষয়টি বুঝতে পারেন৷ তবে তাঁরা দুজনই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে তাঁদের বক্তব্য রেখেছেন৷
যেমন একজন অধ্যাপক বলছেন, ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করে৷ তবে সমস্যা হয় তখন, যখন একজন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেয়ার পর বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে না৷ কেননা এ কারণে ঐ ছাত্রীর শিক্ষার পেছনে সরকার যে টাকাটা খরচ করে সেটা অপচয় হয়৷
আরেক অধ্যাপক বলছেন, ইরানের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এমন কিছু বিষয় থাকে যেগুলো উন্নত দেশের হিসেবে বিচার করা যায় না৷ কেননা এমন অনেক চাকরি আছে যেগুলো ইরানের অনেক মেয়েই করতে চাইবে না৷ ফলে এসব বাস্তব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব একটা ভুল নয়৷
জেডএইচ / এসি (ডিপিএ)