ইয়েমেন যুদ্ধে জার্মান অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯আবুধাবিতে গতসপ্তাহে আয়োজিত প্রতিরক্ষা মেলা দেখে এক পর্যবেক্ষক বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধের বিশ্ব''৷ সেই মেলায় বারোশ'র বেশি প্রতিষ্ঠান সর্বাধুনিক বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে৷ মেলায়জার্মান অস্ত্র বিক্রিতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বড় উপস্থিতিও দেখা গেছে৷
অস্ত্র বিক্রয়কারীদের হতাশ করেনি মেলার আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)৷ মার্কিন এবং ইউরোপীয় বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাঁচ বিলিয়ন ইউরোর সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে দেশটি৷
এখানে বলা প্রয়োজন, ইউএই হচ্ছে জার্মান অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির অন্যতম ক্রেতা৷ কিন্তু, ২০১৫ সাল থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বিবেচিত ইয়েমেন যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে৷
জাতিসংঘ এই যুদ্ধকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংঘাত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে৷ দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ খাদ্যের অভাবে অভুক্ত থাকছেন এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন৷
এখন অবধি জার্মান সরকার বলে আসছে যে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব কিংবা ইউএই জার্মান অস্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বলে তাদের জানা নেই৷ কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেও জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আমি এব্যাপারে এখন অবধি কোনো তথ্য পাইনি৷''
তবে, জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার বায়ারিশে ব়্যুন্ডফুঙ্ক, স্টার্ন ম্যাগাজিন, ডাচ তথ্য ব্যুরো লাইটহাউস রিপোর্ট এবং অনুসন্ধানী নেটওয়ার্ক বিলিংক্যাটের সহযোগিতায় ডয়চে ভেলে টুইটার, ইউটিউব এবং গুগল আর্থ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত যাচাইবাছাই করে এক ভিন্ন চিত্র পেয়েছে৷
ডয়চে ভেলের তদন্ত অনুযায়ী, জলে, স্থলে এবং আকাশে জার্মানিতে তৈরি অস্ত্র এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যদিও জার্মানির অস্ত্র রপ্তানি নীতি অনুযায়ী, এরকম যুদ্ধে জড়ানো দেশে জার্মান সমরাস্ত্র বিক্রি করার কথা নয়৷
এআই/জেডএইচ (ডয়চে ভেলে)