কয়লা তোলা নিয়ে বিতর্ক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলা সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়মিত কভার করছে৷ চলতি বছরের তিন ফেব্রুয়ারি অনলাইন সংবাদপত্রটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘‘কয়লা তুলতে উন্মুক্ত পদ্ধতির দিকে সরকার৷''
এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ‘‘বাংলাদেশে পাঁচটি কয়লা খনি থাকলেও ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে শুধু একটি খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার টনের মতো কয়লা উৎপাদন হচ্ছে৷ পেট্রোবাংলার হিসাবে, পাঁচটি খনিতে ৩১০ কোটি টনের মতো কয়লা মজুদ রয়েছে৷ কিন্তু কয়লা কিভাবে তোলা হবে তা নিয়ে গত দেড় দশকেও বিতর্ক থামিয়ে কয়লা নীতি করতে পারেনি সরকার৷''
অবশ্য তিনদিন পরই প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম উল্লেখ করে, কয়লা তোলার ক্ষেত্রে ‘নতুন প্রযুক্তির' জন্য অপেক্ষা করবে সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়লা উত্তোলনে আরো নতুন প্রযুক্তি হয়ত এই সময়ের মধ্যে চলে আসতে পারে৷ এই মুহূর্তে কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে নতুন প্রযুক্তির জন্য অপেক্ষা করব৷''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলার বিরোধীতা করে আসছে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি৷ এই কমিটির একটি প্রতিনিধি দল গত বছর ভারতে উন্মুক্ত কয়লা খনি পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে ফিরতে আসতে বাধ্য হয়৷
তবে বাংলাদেশে অত্যন্ত সক্রিয় এই কমিটি৷ ২০০৬ সালের ২৬শে আগস্ট এই কমিটির মিছিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে তিনজন নিহত এবং প্রায় দুই শত মানুষ আহত হন৷ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ি থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে সেই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ