এবার সভ্যতার নিদর্শন ধ্বংসের পথে আইএস
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫অন্যান্য অপকর্মের মতো মোসুল শহরের মিউজিয়ামে নিজেদের জঙ্গিদের তাণ্ডবও সযত্নে ভিডিও চিত্রে ধরে রেখেছে ‘ইসলামিক স্টেট'৷ জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই জঘন্য কাজের নিন্দা করেছে৷ তালেবান আমলে বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এই বিপর্যয়কে৷ একটি কার্টুনের মাধ্যমে টুইটারে এই মর্মান্তিক খবর ‘শেয়ার' করেছেন সাংবাদিক ও লেখক ওয়াজদ বুয়াবদাল্লাহ:
ব্রিটেনে বসবাসরত গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মসুদ তাঁর টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অ্যাসিরীয়রা লেখা সহ অনেক কিছুই উদ্ভাবন করেছিল, যা আমরা আধুনিক যুগেও ব্যবহার করি৷ আইসিস চায়, নতুন প্রজন্ম অজ্ঞ, নির্বোধ থাকুক৷''
মোসুল মিউজিয়ামে ধ্বংসকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো৷
ইসরায়েলের এক রেডিও ও টেলিভিশন পরিষেবার প্রতিনিধি আমিচাই স্টাইন এক তীর্যক মন্তব্যে লিখেছেন, ‘‘মোসুল মিউজিয়ামের বেশিরভাগ মূর্তি ছিল নকল৷ অন্তত একবার স্বীকার করতেই হয়, যে ব্রিটিশরা আসল মূর্তিগুলি চুরি করে ভালই করেছিল৷''
এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন ‘দি আর্ট নিউজপেপার'-এর সহ-সম্পাদক খাবিয়ের পেস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ধর্মান্ধরা যখন মোসুল মিউজিয়াম ধ্বংস করছিল, তখন অন্তত একটি ঐতিহ্যবাহী বস্তু শিকাগোয় ছিল৷''
ভারতের ‘টাইমসনাউ' চ্যানেলের সাংবাদিক আদিত্য রাজ কল লিখেছেন, ‘‘আইএসএস মোসুল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি ধ্বংস করেছে৷ দুষ্প্রাপ্য পুঁথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ একেবারে উন্মাদনা৷ মনে আছে, তালিবান কীভাবে বামিয়ান বুদ্ধ ধ্বংস করেছিল?''
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ