1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার সভ্যতার নিদর্শন ধ্বংসের পথে আইএস

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পণবন্দিদের নৃশংস নির্মম হত্যাকাণ্ড, বিধর্মীদের অপহরণের পাশাপাশি তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' ইতিহাসের চিহ্ন ধ্বংসের কাজেও তাদের ‘দক্ষতা' দেখাচ্ছে৷ ইরাকের মোসুল শহরের মিউজিয়ামে তাদের কীর্তি নিয়ে সোচ্চার সোশ্যাল মিডিয়া৷

https://p.dw.com/p/1EidY
Videostill Mohammed Emwazi alias Dschihadi John
ছবি: Reuters//SITE Intel Group

অন্যান্য অপকর্মের মতো মোসুল শহরের মিউজিয়ামে নিজেদের জঙ্গিদের তাণ্ডবও সযত্নে ভিডিও চিত্রে ধরে রেখেছে ‘ইসলামিক স্টেট'৷ জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই জঘন্য কাজের নিন্দা করেছে৷ তালেবান আমলে বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এই বিপর্যয়কে৷ একটি কার্টুনের মাধ্যমে টুইটারে এই মর্মান্তিক খবর ‘শেয়ার' করেছেন সাংবাদিক ও লেখক ওয়াজদ বুয়াবদাল্লাহ:

ব্রিটেনে বসবাসরত গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মসুদ তাঁর টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অ্যাসিরীয়রা লেখা সহ অনেক কিছুই উদ্ভাবন করেছিল, যা আমরা আধুনিক যুগেও ব্যবহার করি৷ আইসিস চায়, নতুন প্রজন্ম অজ্ঞ, নির্বোধ থাকুক৷''

মোসুল মিউজিয়ামে ধ্বংসকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো৷

ইসরায়েলের এক রেডিও ও টেলিভিশন পরিষেবার প্রতিনিধি আমিচাই স্টাইন এক তীর্যক মন্তব্যে লিখেছেন, ‘‘মোসুল মিউজিয়ামের বেশিরভাগ মূর্তি ছিল নকল৷ অন্তত একবার স্বীকার করতেই হয়, যে ব্রিটিশরা আসল মূর্তিগুলি চুরি করে ভালই করেছিল৷''

এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন ‘দি আর্ট নিউজপেপার'-এর সহ-সম্পাদক খাবিয়ের পেস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ধর্মান্ধরা যখন মোসুল মিউজিয়াম ধ্বংস করছিল, তখন অন্তত একটি ঐতিহ্যবাহী বস্তু শিকাগোয় ছিল৷''

ভারতের ‘টাইমসনাউ' চ্যানেলের সাংবাদিক আদিত্য রাজ কল লিখেছেন, ‘‘আইএসএস মোসুল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি ধ্বংস করেছে৷ দুষ্প্রাপ্য পুঁথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ একেবারে উন্মাদনা৷ মনে আছে, তালিবান কীভাবে বামিয়ান বুদ্ধ ধ্বংস করেছিল?''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য