1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কপের এজেন্ডায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’

৬ নভেম্বর ২০২২

কাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-এর ২৭তম আসরের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক৷ আলোচনার এজেন্ডায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ক্ষতিপূরণ তহবিল৷

https://p.dw.com/p/4J7oZ
কাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-এর ২৭তম আসরের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক৷ আলোচনার এজেন্ডায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ক্ষতিপূরণ তহবিল৷
মিশরের শারম আল-শাইখে এবার কপ অনুষ্ঠিত হচ্ছেছবি: Joseph Eid/AFP/Getty Images

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণের জন্য একটি নতুন তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে৷ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' নামের এই তহবিল গঠনের বিষয়টি এতদিন সম্মেলনের মূল এজেন্ডাতেই রাখতে চায়নি উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ৷ কিন্তু মিশরে বসা কপের ২৭তম আসরের আগে এই তহবিলের বিষয়টি নিয়ে এতটাই চাপ তৈরি হয়, যে রোববার এজেন্ডা ঠিক করার দিন তা সবার ভোটে পাশ হয়৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' নামে একটি তহবিল গঠনের চেষ্টা করছে বহুদিন ধরে৷ গত বছর গ্লাসগো সম্মেলনেও এ নিয়ে জোর দাবি তোলা হয়৷ কিন্তু উন্নত দেশগুলো তহবিল নয়, বরং এ নিয়ে আগামী তিন বছর মূল এজেন্ডার বাইরে আলোচনা চালিয়ে যাবার কথা বলে৷ সম্প্রতি একের পর এক বড় বড় দুর্যোগের ফলে এ নিয়ে চাপ তৈরি হয়৷ এর আগে ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার গরিব দেশগুলোকে দেবে৷ সেই প্রতিশ্রুতিও রাখেনি তারা৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, তহবিলটি মূলত অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য৷ তাদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে  অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্যও মোটা অংকের অর্থনৈতিক সযোগিতা প্রয়োজন৷

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালীমুল হক জানান, মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে পাকিস্তানের বন্যা দ্বিগুণ ভয়াবহ হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলো ব্যর্থ হয়েছে৷ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ তাদের সহযোগিতা দরকার৷ আর এ জন্য আমাদের তহবিল দরকার৷’’

কপ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

রোববার একইসঙ্গে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কপ২৭-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে৷অ নির্বাচিত হবার পর সবার উদ্দেশ্যে শুকরি বলেন, ‘‘আজ এমন একটা সময় আমাদের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জের বইতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে৷ বিশ্ব জ্বালানি ও খাদ্য সংকট দেখছে৷ সে যাই হোক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা যেন প্রভাব না ফেলে৷’’

মিশরের শারম আল-শাইখে এবার কপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী এবার নিবন্ধন করেছেন৷ উপস্থিতির দিক থেকে এটি অন্যতম বড় সম্মেলন হতে যাচ্ছে৷ সোম ও মঙ্গলবার হবে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক৷ সেখানে বিশ্বনেতারা অংশ নেবেন৷ এরপর ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে আলোচনা ও বৈঠক৷ এবার যেসব বিষয় আলোচনার মূলে থাকবে, তার মধ্যে রয়েছে অভিযোজনে অর্থায়ন বাড়ানো, কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন লক্ষ্যমাত্রা ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থায়ন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য