1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় বাংলাদেশে ১৮ চিকিৎসকের মৃত্যু

৫ জুন ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এসএএম গোলাম কিবরিয়া কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷

https://p.dw.com/p/3dJXh
চিকিৎসকের মৃত্যু
ছবি: bdnews24

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তিনি মার যান৷ তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর৷

তাকে নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ রোগ আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ ‘উপসর্গ নিয়ে’ আরো পাঁচ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে৷ 

ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিস-এফডিএসআর নামে একটি সংগঠনের বরাত দিয়ে শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ তথ্য জানায়৷ সংগঠনটির তথ্যানুযায়ী, দেশে ১ হাজার ৩৭ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯  রোগে আক্রান্ত হয়েছেন৷

চিকিৎসকদের ক্ষতিপূরণ
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত বা মৃত্যু হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল সরকার৷

সেই অনুযায়ী ডা. মঈন উদ্দীনের পরিবার থেকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আবদন করা হয়েছে৷ গত ২৭ এপ্রিল ডা. মঈনের স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেন৷ গত বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহে এ অর্থ ছাড়া হতে পারে৷ যদি তাই হয় তবে ডা. মঈনের পরিবারই প্রথম সরকারি কর্মকর্তার পরিবার হবে যারা করোনার ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে যাচ্ছেন৷

গত ১৫ এপ্রিল  সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দীন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ দেশে এ রোগে মারা যাওয় প্রথম চিকিৎসক তিনি৷

করোনা পরীক্ষার ভুয়া প্রত্যয়নপত্র
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পরীক্ষায় দুইবার ‘নেগেটিভ’ হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তিদের একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়৷

ঢাকার সাভার উপজেলায় ‘নেগেটিভ’ হওয়ায় ভুয়া প্রত্যয়নপত্র বিক্রির ঘটনায় এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাঈদ মিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়৷
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, ‘‘একটি পোশাক কারখানার দুই শ্রমিক কর্মস্থলে ‘করোনা ভাইরাস নেগেটিভ’ বলে প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়৷ কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করে৷

‘‘কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা নেওয়া রোগীর তালিকায় ওই দুজনের নাম না পেয়ে প্রত্যয়নপত্রসহ দুই শ্রমিককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাতে বলে৷ প্রত্যয়নপত্র দেখেই বোঝা যায় তা ভুয়া৷’’

জিজ্ঞাসাবাদে ওই শ্রমিকরা চাকরি বাঁচাতে অর্থের বিনিময়ে সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকার ফার্মেসি মালিক সাঈদ মিয়ার কাছ থেকে সেটি নিয়েছে বলে জানায়৷ পরে পুলিশ সাঈদ মিয়াকে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা৷ সাঈদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে৷

এসএনএল/ এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন ...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান