কর ফাঁকিবাজদের জব্দ করতে চায় জার্মানি
৫ এপ্রিল ২০১৩রাজনীতি জগত ও সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে সদ্ভাব? এ যেন সোনার পাথরবাটি! দুই পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করে৷ সাংবাদিকরা নেতাদের দুর্বলতা, দুষ্কর্ম বা বেফাঁস মন্তব্য প্রকাশ করেন৷ নেতারা বলেন, তাঁদের ‘আউট অফ কনটেক্সট' বা সঠিক প্রেক্ষাপটের বাইরে উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কাজ৷ ফলে তাঁরা যতটা সম্ভব সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলেন৷ প্রয়োজনে অবশ্য সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করতেও তাঁরা পিছপা হন না৷
একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আচমকা রাজনীতি জগত ও সংবাদ মাধ্যমের শুভ আতাঁতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷
ঘটনাটির সূত্রপাত এ রকম৷ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের যৌথ উদ্যোগে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে৷ ১৭০টি দেশের ১ লক্ষ ৩০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কীভাবে নিজেদের দেশে কর ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের ১০টি জায়গায় অর্থ জমা রেখেছেন, তা জানা গেছে সাংবাদিকদের এই যৌথ তদন্তের ফলে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ধনী নাগরিকরা কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছেন, এ কথা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল৷ তবে এত বড় আকারে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে, এমনটা কেউ ভাবতে পারে নি৷
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে যা বলেছেন, তার মর্ম এ রকম৷ এত বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে গেছে, ভালো কথা৷ সাংবাদিকরা তাঁদের কাজ করেছেন৷ এবার তাঁদের উচিত সেই তালিকা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া, যাতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়৷ বিরোধী পক্ষও জার্মান অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাছাড়া কর ফাঁকি দিতে সাহায্য করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব ‘মরুদ্যান' রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে৷
জার্মান রাজনৈতিক মহলের এই ডাকে সংবাদ মাধ্যম কি সাড়া দেবে? তাদের ‘স্টোরি' প্রকাশিত হয়েছে, পরিশ্রম বিফল হয় নি৷ এবার কর কর্তৃপক্ষ যদি তার ফসল তুলতে পারে, রাজকোষে প্রাপ্য অর্থ পড়ে, তাহলে ক্ষতি কী!
এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)