কলকাতা বইমেলার শেষ দিন আজ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১এবারের কলকাতা বইমেলা বেশ কিছু কারণে অভিনবত্বের দাবি রাখে৷ প্রথমত, এবার বইমেলায় ঢুকতে কোনো টিকিট কাটতে হয়নি৷ কারণ বইমেলার উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড-এর আর্জি মেনে নিয়ে তাদের বেসরকারি অব্যবসায়িক সংস্থা বা এনজিও হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার৷ সেই সুবাদে বেশ কিছু কর ও শুল্ক দেওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল গিল্ড৷ সেই আর্থিক সুবিধেটা বইপ্রেমীদের কাছেও পৌঁছে দিতে টিকিট তুলে দেওয়া হল বইমেলা থেকে৷
এছাড়া এবারই প্রথম বইমেলা আলোকিত হল সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে৷ সাধারণ মানুষকে বিকল্প শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করাই ছিল উদ্দেশ্য৷ পাশাপাশি এটাও বোঝা গেল যে গত বছর হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বইমেলা অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
তবে পরিকাঠামোগত বেশ কিছু অসুবিধে এবারও পীড়িত করেছে বইমেলাকে৷ তার মধ্যে এক যদি হয় বাইরের ব্যাপক যানজট এবং প্রবল ধুলো, অন্যটা অবশ্যই মেলাপ্রাঙ্গনে বইয়ের স্টলের বিন্যাসে পরিকল্পনার অভাব৷ অনেক বিক্রেতাকেই এ নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা গেছে৷ তবে বই বিক্রির হিসেবে তাদের অনেকটাই পুষিয়ে গেছে৷ যেমন বলছিলেন তালপাতা প্রকাশন সংস্থার গৌতম সেনগুপ্ত৷ প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন নবীন প্রকাশক হিসেবে এবার পুরস্কৃত হয়েছে তালপাতা৷ তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, নতুন ধাঁচের বইমেলার সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন নতুন প্রকাশকেরা৷ গৌতমবাবু জানালেন, এই মেলায় তাঁদের মত অন্য ধারার প্রকাশকদের অন্তত খুব সুবিধে হয়েছে৷ যাঁরা সিরিয়াস পাঠক, তাঁরা ঠিক খুঁজে এসে বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন৷
৩৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মাক্সমুলার ভবনের এবারের বইমেলায় না থাকা অনেকেরই চোখে পড়েছে৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী