1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে সাত দিনের এনকাউন্টার, মৃত তিন সেনা সহ সাত

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে সাত দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে লড়াই হলো।

https://p.dw.com/p/4WZws
কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাত দিন ধরে এনকাউন্টার নিরাপত্তা বাহিনীর।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাত দিন ধরে এনকাউন্টার নিরাপত্তা বাহিনীর। ছবি: Faisal Bashir/SOPA Images via ZUMA Press Wire/picture alliance

এই এনকাউন্টারে তিনজন সেনা এবং একজন পুলিশ কর্মী মারা গেছেন। দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তৃতীয় আর এক জঙ্গির দেহের খোঁজ  চলছে।  একজন মৃত জঙ্গি লস্করের স্থৈনীয় কম্যান্ডার উজির খান বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের অতিরিক্ত ডিজিপি বিজয় কুমার।

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ে এতদিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়নি। এবার জঙ্গিরা অনন্তনাগের গাদোলের ঘন জঙ্গলে লুকিয়েছিল। তাই তারা এতদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছে।  তিন জঙ্গির কাছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল।

তবে তাদের মারতে সেনা ও পুলিশের তরফ থেকে মর্টার, রকেট ব্যবহার করা হয়। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে কয়েকশ মর্টার শেল ও রকেট ছোড়া হয়েছে।

জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস এবং পুলিশের ডেপুটি এসপি হিমায়ন ভাট-সহ চারজন মারা গেছেন।

গত বুধবার এই এনকাউন্টার শুরু হয়। সেনা ও পুলিশ মিলে কাশ্মীরে গাদোলের জঙ্গলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। তাদের কাছে খবর ছিল, তিনজন লস্কর জঙ্গি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। তারপর শুরু হয় প্রবল লড়াই।

মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, রোববার একজন জঙ্গির পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার নাম উজির খান। সে লস্করের কম্যান্ডার। এক বছর আগে সে লস্করে যোগ দেয়।

এডিজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযান চলবে। তৃতীয় জঙ্গির দেহ এখনো উদ্ধার করা য়ায়নি। তাছাড়া জঙ্গলে না ফাটা মর্টার শেল পড়ে আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাই স্থানীয় মানুষকে সাবধান করে দিয়ে বলা হয়েছে, তারা যেন এখন জঙ্গলে না যান।

এই অভিযানে হাজারেরও বেশি সেনা ও পুলিশ অংশ নিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া প্যারাট্রুপারও নামানো হয়েছিল।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)