কৃষক বিক্ষোভ: আত্মহত্যা সন্তের, ঠান্ডায় মৃত এক
১৭ ডিসেম্বর ২০২০বুধবার আত্মহত্যা করেছিলেন একজন। বৃহস্পতিবার ফের এক কৃষকের মৃত্যু হলো দিল্লি সীমানায়। আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে ওই কৃষকের। এর আগে বুধবার হরিয়ানার সন্ত রাম সিং সিংঘু সীমানায় আত্মঘাতী হন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, কৃষকদের এই দুর্দশা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করলেন। নিজের জীবন দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন। দুই ঘটনাতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিক্ষোভরত কৃষকদের মধ্যে।
বুধবার সিংঘু সীমানায় কৃষক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন সন্ত রাম সিং। হরিয়ানায় সন্ত হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর বেশ কিছু ভক্তও আছে। বুধবার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার পরে রাস্তাতেই নিজের দিকে তাক করে গুলি ছোড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পানিপথের হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সন্তের কাছ থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, কৃষকদের দুর্দশা সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করলেন। নিজের জীবন দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার আরো এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার দিল্লির তাপমাত্রা চার ডিগ্রি। প্রবল শীতের মধ্যেই রাস্তায় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। সেই শীত সহ্য করতে না পেরেই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বার বারই এই আন্দোলনকে কয়েকটি অঞ্চলের কৃষকের বিক্ষোভ বলে দেখানোর চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বিষয়টি দ্রুত জাতীয় বিষয় হয়ে উঠবে। তার আগেই সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দরকারে একটি কমিটি গঠন করা হোক।
কৃষকরা অবশ্য কমিটি গঠনের বিরোধী। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের আইন বৈধ কি না, সুপ্রিম কোর্ট তা বিচার করুক। কমিটি করে আলোচনায় রাজি নন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারও আইন পরিবর্তনে সায় দেয়নি। ফলে আলোচনা প্রক্রিয়া এখনো বিশবাঁও জলে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। এখন দেখার দুই কৃষকের মৃত্যুর পর সরকার কী পদক্ষেপ নেয়। বস্তুত, বুধ ও বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর আন্দোলনকারী কৃষকরা আরো উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রয়োজনে আরো প্রাণ যাবে, কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে তাঁরা সরবেন না।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)