কেরালায় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
৯ জুলাই ২০২১করোনার ভ্রূকুটি এখনো কাটেনি, তারই মধ্যে কেরালায় ধরা পড়ল জিকা ভাইরাস। এক গর্ভবর্তী নারীর রক্তে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে কেরালার স্বাস্থদফতর জানিয়েছে। আরো ১৩ জনের রক্তের নমুনাও পুনের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভারতে করোনার প্রকোপ আগের চেয়ে কমলেও এখনো দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের উপরে। মৃত্যুর হার অবশ্য আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। এরই মধ্যে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে কেরালায়। কেরালার সরকার রাজ্য জুড়ে সতর্কতাও জারি করেছে। নতুন ভাইরাস মশাবাহিত। নাম জিকা। এই ভাইরাসের প্রকোপেও মৃত্যু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেরালায় এক গর্ভবতী নারীর শরীরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নারীর সন্তান হয়েছে। সন্তান এবং মা দুইজনেরই চিকিৎসা চলছে। আরো ১৩ জনের শরীরেও এই ভাইরাস আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সকলের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে পুনের ল্যাবরেটরিতে।
এর আগে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রকোপে কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে করোনাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ আগের চেয়ে খানিকটা কমেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাস শরীরে ঢুকলে নানারকম উপসর্গ দেখা যেতে পারে। গায়ে লাল লাল বিন্দু দেখা যেতে পারে, পেশীতে যন্ত্রণা, কনজাঙ্কটিভাইটিস, মাথা ব্যথা, বমি ভাব হতে পারে। জ্বরও আসতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জিকা ভাইরাসের চিকিৎসায় এখনো পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। নেই কোনো টিকাও। ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা জঙ্গলে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গেছিল। কিন্তু তারপর এত দিন কেটে গেলেও কোনো ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)