আলৎসহাইমার
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২এতে ইঁদুরের উপর চালানো পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা৷ তারা দেখতে পেয়েছেন, ইঁদুরের আলৎসহাইমার নিরাময়ে সফল ক্যান্সারের বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ - যার নাম ‘বেক্সারোটেনে'৷
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক মার্কিন অধ্যাপক গ্যারি ল্যাণ্ড্রেথ বলছেন, ইঁদুরকে ওষুধটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সফলতা দেখা গেছে৷ ‘‘আমরা এই ফলাফলে ভীষণ অবাক হয়েছি৷ কেননা আগে এমনটা ঘটেনি,'' বলেন ল্যাণ্ড্রেথ৷
তিনি বলেন, আলৎসহাইমারের জন্য দায়ী অ্যামিলয়েডের পরিমাণ কমাতে অ্যাপোলিপোপ্রোটিন নামের যে আমিষ প্রয়োজন সেটার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঐ ওষুধটি৷
ল্যাণ্ড্রেথ বলেন, অল্প বয়সি মানুষের ক্ষেত্রে অ্যামিলয়েড এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যায়৷ কিন্তু সমস্যাটা হয় বয়স্কদের ক্ষেত্রে৷
আলৎসহাইমার রোগ বিশেষজ্ঞ স্কট টার্নার গবেষণার এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এটা সত্যিই একটা দারুণ খবর৷ তবে টার্নার এও বলছেন যে, মানবদেহের ক্ষেত্রে একই ফল পাওয়া যায় কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷
এ বিষয়ে মার্কিন গবেষকরা বলছেন, তারা মানুষের দেহে পরীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন৷ তবে প্রাথমিক ফল জানতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে৷
যে-ওষুধ দিয়ে সফলতা পাওয়া গেছে সেই বেক্সারোটেনে পাওয়া যায় ইউরোপ সহ উত্তর ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার ২৬টি দেশে৷ মার্কিন ওষুধ কোম্পানি লিগ্যাণ্ড ফার্মাসিউটিক্যাল এই ওষুধের উদ্ভাবক৷
বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় তিন কোটি ষাট লাখ মানুষ আলৎসহাইমার রোগে আক্রান্ত৷ এই রোগ মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দেয়ায় রোগী আর আপনজনদের চিনতে পারেন না৷ চিনতে পারেন না আশেপাশের পরিবেশও৷
গবেষণায় দেখা গেছে, আলৎসহাইমারের লক্ষণগুলো স্পষ্ট হবার অন্তত এক দশক আগে এরোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে৷ অনেক বিজ্ঞানী তাই মনে করেন, আগেভাগেই পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত৷ তাহলে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার করতে সুবিধা হবে৷ আর আগামী দিনের গুরুতর চাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে পরিবারের লোকজন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক