1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে

১৭ জানুয়ারি ২০২০

বিমান ধ্বংসে মৃত প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে। যৌথ বিবৃতি পেশ করে দাবি জানালো আন্তর্জাতিক মহল।

https://p.dw.com/p/3WL5H
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/PA Wire/J. Brady

তেহরানের উপর আরও চাপ বাড়াল আন্তর্জাতিক মহল। ইউক্রেনের যে বিমানে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়েছিল, তার জন্য এ বার তেহরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হল। একই সঙ্গে জানানো হল, যত দিন পর্যন্ত এই ঘটনার সমস্ত উত্তর ইরান দেবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের ছাড়াও হবে না।

ইরান ছাড়াও ৫টি দেশের যাত্রী ছিলেন ইউক্রেনের ওই বিমানে। বৃহস্পতিবার লন্ডনে কানাডার দূতাবাসে মিলিত হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। মৃত যাত্রীদের প্রতি শোকপ্রস্তাব জানিয়ে তাঁরা একটি বৈঠক করেন। পরে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁরা জানান, মৃত যাত্রীদের পরিবার সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তেহরানকে। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ করে দিতে হবে। যে তদন্তে অংশ নেবেন এই পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত বিমানে হামলা চালানোর বিষয়টি ইরান স্বীকার করলেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা দিচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না, ততদিন তেহরানের উপর চাপ বজায় রাখা হবে।

ইরাকে ইরানের অন্যতম জেনারেল কাসিম সোলেইমানিকে হত্যা করেছিল অ্যামেরিকা। প্রত্যুত্তরে ইরাকে মার্কিন সৈন্য ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা করে ইরান। তখনই তেহরান থেকে ওড়া একটি ইউক্রেনের বিমানও মিসাইলে ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে অবশ্য ইরান মিসাইলের কথা স্বীকার করেনি। জানিয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু পরে কানাডা, অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের চাপে তেহরান স্বীকার করে নেয় যে, মিসাইল লেগেই বিমানটি ধ্বংস হয়েছে। তার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ইরানের উপর চাপ তৈরি করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)