ক্ষতি ৬০০ কোটি
৮ জানুয়ারি ২০১৩মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বিমানের শ্রমিক কর্মচারীরা সাত দফা দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট শুরু করলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে৷ ধর্মঘটের কারণে বিমানবন্দরে দেখা দেয় উড়োজাহাজজট৷ ৩০টি এয়ার লাইন্সের ১৮টি ফ্লাইট আটকে যায়৷ ১২টি উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারলেও সেগুলো যাত্রী এবং পণ্য নামাতে পারেনি, কারণ, ফ্লাইট হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের সবাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের৷ ফলে যাত্রীরা পড়েন চরম বিপাকে৷
এ পরিস্থিতিতে দুপুরের পর বিমানমন্ত্রী ফারুক খান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিমান বন্দরে গিয়ে বৈঠক করে শ্রমিক-কর্মচারীদের সাত দফা দাবি মেনে নিলে ধর্মঘট প্রতাহার করা হয়৷ মেনে নেয়া দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, শতভাগ খাবার ও চিকিৎসা ভাতা, পোশাক ভাতা, অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করা এবং বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মুশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার৷ বিমানমন্ত্রী জানান, এতে বিমানের খরচ আরো বেড়ে গেলেও সরকার দাবি মেনে নিয়েছে৷
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান৷ গত অর্থবছরেও প্রতিষ্ঠানটি ৬০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে৷ এ অবস্থায় বাড়তি খরচ বিমান কিভাবে বহন করবে জানতে চাইলে বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, লোকসানের জন্য তাঁরা দায়ী নন, ভ্রান্ত নীতির কারনেই এমন লোকসান হচ্ছে৷ এ সময় তিনি বিমানে দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলেও দাবি করেন,
বিমানের বেশ কিছু জনপ্রিয় রুট এখন বন্ধ আছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লোকসানের কথা বলে এসব রুট কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেছে৷ তাঁর প্রশ্ন, অন্য এয়ারলাইন্স ব্যবসা করতে পারলে বিমান কেন পারবেনা?
বিমানের এখন ১০টি উড়োজাহাজ আছে৷ আর কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ১ হাজার ৪০০৷ এর বাইরে আছেন অস্থায়ী শ্রমিক৷ মুশিকুর রহমানের আশা, তাঁরা বেশি শ্রম দিয়ে বিমানকে লাভজনক করে তুলবেন৷