গুলশান কার্যালয়ে খাবার বন্ধ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত তাঁর কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য শুক্রবার দুপুরেও খাবার নিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান জানিয়েছেন, ‘‘বুধবার থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের খাবার আনতে বাধা দেয়া হচ্ছে৷''
ফেসবুকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দিপন সোমা লিখেছেন, ‘‘আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছি৷ এসএসসি পরীক্ষার দিন হরতাল দিয়ে ১৫ লক্ষ ছোট বাচ্চাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ফাত্রামি করা, গাড়িতে আগুন দিয়া মানুষ মাইরা ফেলা যদি ওনার কাছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়, তাইলে ওনার খাবারের দরকার কি?''
নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস মনে করেন, ‘‘হরতাল অবরোধ দিয়ে মানুষ মারবে আবার আরামে বসে খাবে তাই কি হয়...৷'' আর মতিউর রহমানের কাছে ‘‘বিষয়টি খুবই সহজ, ওনার নির্দেশে কোটি কোটি মানুষের খোরাক বন্ধ হচ্ছে, না হয় পুলিশ ২ দিন তার খাবার বন্ধ করেছে৷''
খালেদার কার্যালয়ে খাবার নিতে বাধা দেয়ার সমালোচনাও করেছেন অনেকে৷ আনাম শহীদ লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কত নিকৃষ্ট হতে পারে এটা তার একটা উদাহরণ মাত্র৷'' শরিফুল ইসলামের কথা হচ্ছে, মোটেও ঠিক করেন নি সরকার৷ মানুষের খাবার বন্ধ করার অধিকার সরকারের নেই, সরকারের উচিত বিষয়টি নিয়ে আলেচনায় বসা৷ কিন্তু তা করছেন না, দেশের মানুষ আজ বন্দি অবস্থায় রয়েছে৷ এটা সরকারকেই সমাধান করতে হবে৷
তিনি লিখেছেন, ‘‘সরকার কেন আলোচনায় ভয় পায়? দেশের মানুষকে আপনারা রেহাই দিন৷ আর কত দেখাবেন৷ দেশের মানুষ জেগে উঠলে আপনারা কেউই থাকবেন না৷ আপনারা ভারতের দিকে তাকান, তাহলেই বুঝতে পারবেন,আসল ব্যাপারটা৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন