1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ইন্টারনেটের গতি ধীর?

৬ মার্চ ২০১৮

জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে পাঁচ কিলোমিটার ব্যবধানে অবস্থিত দু'টি খামার কানেনব্রক আর ভ্যাল্টারমান৷ কিন্তু ইন্টারনেটের গতির হিসেব করলে খামার দুটির মধ্যে দূরত্ব পাঁচ মনে হবে না, মনে হবে পাঁচশ কিলোমিটার!

https://p.dw.com/p/2tdGG
Deutschland PK Jahreszahlen der Deutschen Telekom
ছবি: Reuters/W. Rattay

সম্প্রতি দুই খামারের মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর এমন মন্তব্য করেছেন ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক আর্থার সুলিভান৷ কারণ একদিকে ভ্যাল্টারমান তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি সেকেন্ডে ১২ মেগাবিটস গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ অন্যদিকে কানেনব্রক জানান, ওয়েবসাইটের একটি পাতা লোড করতে তাঁর পাঁচ মিনিট সময় লাগে৷ কারণ তাঁর ইন্টারনেটের গতি নাকি সেকেন্ডপ্রতি এক মেগাবিটসেরও কম!

জার্মানির কৃষকদের সংগঠন ডিবিভি-র ২০১৭ সালের এক জরিপ বলছে, গড়ে প্রতি তিনজন কৃষকের মধ্যে দু'জন ইন্টারনেটের গতি খুবই কম বলে জানিয়েছেন৷ তাই ডিবিভির প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম রুকভিড বলেছেন, জার্মানির আগামী সরকারকে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে৷

শুধু জার্মান কৃষকদের সংগঠনের জরিপই নয়, বৈশ্বিক এক জরিপেও জার্মানির ইন্টারনেটের গতির করুন দশার চিত্র উঠে এসেছে৷ মার্কিন কোম্পানি আকামাই-এর সবশেষ ‘স্টেট অফ দ্য ইন্টারনেট রিপোর্ট' বলছে, ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ইউরোপে জার্মানির অবস্থান ২৫ নম্বরে৷ বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, রুমানিয়ার মতো অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলো এক্ষেত্রে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউরোপের সুপারপাওয়ার জার্মানির চেয়ে এগিয়ে আছে৷

ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রে জার্মানির এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্রডব্যান্ড কানেকশনের ক্ষেত্রে ফাইবার অপটিকের অপ্রতুল ব্যবহার৷ ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' বা ওইসিডি-র সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির ব্রডব্যান্ড কানেকশনের মাত্র দুই শতাংশ দেয়া হয় ফাইবার অপটিক দিয়ে৷ যেখানে সুইডেন, লাটভিয়ার মতো দেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৫০ শতাংশের বেশি৷

জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি, বিনেটৎসএ-র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও জার্মানিতে ধীরগতির ইন্টারনেটের বিষয়টি উঠে এসেছে৷ ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জার্মানির শীর্ষস্থানীয় টেলিকম সেবাদাতার কার্যক্রমের উপর নজর রেখেছিল বিনেটৎসএ৷ সেই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রকাশ করা প্রতিবেদন বলছে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন গ্রাহক তাঁদের চুক্তিতে ইন্টারনেটের যে গতি পাওয়ার কথা ছিল, তার অর্ধেকের চেয়েও কম গতি পেয়েছেন৷ আর কোনো গ্রাহকই ‘সর্বোচ্চ' গতি পাননি বলে জানা গেছে৷ এছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ১.৬ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের ডিভাইসে প্রোভাইডার কর্তৃক অঙ্গীকার করা গতি পেয়েছেন৷

কী করছে জার্মানি?

জার্মানির খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি ‘অপর্যাপ্ত' বলে স্বীকার করে নিয়েছে৷ সেই সঙ্গে সরকারের নেয়া একটি উদ্যোগের কথা জানিয়েছে৷ গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সেবার প্রসার চার বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার৷

এছাড়া গতবছরের মার্চ মাসে জার্মান সরকার পুরো দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘গিগাবিট' গতির ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়৷ এ লক্ষ্যে আট বছরে ১০০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে বলে জানানো হয়৷ লক্ষ্য পূরণে ফাইবার অপটিক ও ফাইভজি-র সহায়তা নেয়া হবে৷

এদিকে, জার্মানিতে নতুন সরকার গঠনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ ও এসপিডি দলের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সেবা ছড়িয়ে দিতে ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (ডিডাব্লিউ, ব্লুমবার্গ)

জার্মানিতে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান