টেলিযোগাযোগ মিউজিয়াম
১৪ ডিসেম্বর ২০১৩জার্মানিতে প্রথম মোবাইল ফোনের দাম ছিল চার হাজার ডয়চে মার্ক৷ আজ সেই মোবাইল একটি অমূল্য বস্তু, যা বার্লিনের টেলিযোগাযোগ মিউজিয়ামে শোভা পাচ্ছে৷ মিউজিয়ামের প্রতিনিধি অলিভার গ্যোটসে বলেন, ‘‘কারণটা সহজেই বোঝা যায়৷ এটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখা যেতো; ইনস্টলেশন নিয়ে ঝামেলা ছিল না; বাড়িতে চার্জ করে নেওয়া যেতো: এটা সত্যিই ছিল জার্মানির প্রথম মোবাইল টেলিফোন, আমরা আজ মোবাইল বলতে যা বুঝি৷ যা দিয়ে আরো অনেক কিছু করা যেতো, যেমন এসএমএস পাঠানো যেতো৷''
এর আগের মোবাইল যন্ত্রগুলোকে দেখলে বোঝা যায়, প্রযুক্তি হিসেবে প্রথম মোবাইল টেলিফোন এমন একটা বিশাল প্রগতি কেন৷ কালে কালে মোবাইল টেলিফোনের সাইজ কমেছে, ওজন কমেছে – আর তা দিয়ে আরো অনেক কিছু করা যায়৷
ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনের নাম বদলে হয়েছে স্মার্টফোন, যে বস্তুটিকে বাদ দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন কল্পনাই করা যায় না৷ মোবাইল ফোন দিয়ে ই-মেল পাঠানো যায়, খবর পড়া যায়, গাড়ির রুট বাছা যায়, ট্যাক্সি ডাকা যায়৷
বার্লিনের কলা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনের ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণা চলেছে৷ ডিজাইন গবেষক ফাবিয়ান হেমার্ট সহজ সব প্রোটোটাইপ তৈরি করে দেখেন, আগামীতে বিভিন্ন বস্তুর আকৃতি-প্রকৃতি কীভাবে বদলে যেতে পারে৷ ভবিষ্যতে ফেসবুকের মতো অনেক অ্যাপ্লিকেশন চশমা কিংবা ঘড়িতেই লাগানো থাকবে৷ এবং সেটা যে খুব ভালো হবে, এমন নয়, বলে ফাবিয়ানের ধারণা৷ তিনি বলেন, ‘‘তথ্য যদি একটা মাদক হয়, তবে ফেসবুক হল তার দালাল৷ স্মার্টফোন, স্মার্টগ্লাসেস, স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে আমরা এই দালালকে ক্রমেই আরো কাছে আসতে দিচ্ছি৷ আজকে আমাদের যে বস্তুটির অভাব, সেটা সময় নয় – সেটা হল মনোযোগ৷''
আজকের তরুণ সমাজ তাদের মনোযোগের একটা বড় অংশ দিচ্ছে এই সব নয়া নয়া যান্ত্রিক উদ্ভাবনকে৷ নানা অ্যাপ-যুক্ত ঘড়ি কিংবা চশমা একদিন আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে৷ মোবাইল টেলিফোনকে তখন মনে হবে যেন অতীত যুগের কোনো স্মৃতি৷